উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝরাতে হামলা, তা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক তর্জা। ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার নিজেদের জমি ফিরে পেলেন রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramakrishna Mission) সন্ন্যাসীরা। এদিন ভক্তিনগর থানার পুলিশ (Bhaktinagar police station) রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের নিয়ে ‘সেবক হাউস’-এর দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। জানা গিয়েছে, এখন থেকে সেবক হাউসেই থাকবেন মিশনের সন্ন্যাসীরা। তাঁদের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে পুলিশ।
এদিন শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার পুলিশ রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েকজন সন্ন্যাসীকে সঙ্গে নিয়ে সেবক হাউসে প্রবেশ করে। ছিলেন মিশনের আইনজীবীও। পুলিশ ভিতরে ঢুকে প্রথমে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। নতুন করে কাজকর্মও শুরু হবে এখান থেকে। সন্ন্যাসীদের সুরক্ষার কথা ভেবে আগামী কয়েকদিন সেবক হাউসে সশস্ত্র পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেছে জেলা প্রশাসন।
মিশনের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু নন্দীর বক্তব্য, প্রশাসনের বিরুদ্ধে নন তাঁরা। মিশনের সাধারণ সম্পাদকেরও কথায়, প্রশাসনের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে পুনরায় শান্তি বিঘ্নিত হবে না বলেও আশা করছেন তাঁরা।
রবিবার রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেবক হাউস’-এ কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এনিয়ে ভক্তিনগর থানায় রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগ অনুযায়ী, ৩০ থেকে ৩৫ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেবক হাউসের ভিতর ঢুকে সেখানকার সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হন। তাঁদের ভয় দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। লুটপাট করা হয় সেবক হাউসের ভিতর। এই ঘটনায় শুরু হয় রাজনৈতিক তর্জাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। অন্যদিকে, ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। এর মধ্যেই সেবক হাউস ফিরে পেলেন মিশনের সন্ন্যাসীরা।