মালবাজার: ভুট্টা বাড়ি আর বুড়িখোলা বনাঞ্চলের মধ্যবর্তী বনগ্রাম। নাম বুড়িখোলা। সৌন্দর্য অপার। কালিংপং জেলার গরুবাথান ব্লকের আওতায় রয়েছে এই বনগ্রামটি। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। লোকসভা ভোটে দেশব্যাপী ইস্যুগুলি এখানে আজও কোনও প্রভাব বিস্তার করে না। অনেক না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই বনগ্রামে। আদতে যে উন্নয়নের পরশই সেভাবে পৌঁছায়নি এখানে। নিজেদের পানীয় জল কিংবা রাস্তার সমস্যা নিরসনই ভোটের প্রধান ইস্যু। উন্নয়নের পরশ পাওয়ার আর্জি তুলে ধরেই এবারও ভোট দেবে বুড়িখোলা। বাসিন্দাদের একটাই চিন্তা শেষ পর্যন্ত উন্নয়ন হবে তো।
মাল শহর থেকে সোনগাছি চা বাগানের নাকাটি ডিভিশনে পেরিয়ে পৌঁছানো যায় বুড়িখোলায়। আবার গরুবাথানের পাহাড়ি পথে ভুট্টাবাড়ি বনাঞ্চল পেরিয়েও এই বনগ্রামে পৌঁছানো যায়। মাল নদীর ধারে যেন গহন বনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এই বনগ্রাম। বুড়িখোলাতেও লোকসভা ভোটের দামামা বেজেছে। প্রশাসনিক ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। কেমন আছে জানতে সেগুন পাতা ঝরা বুড়িখোলাতে পৌঁছাতেই ভেসে আসল উন্নয়নের সুতীব্র তৃষ্ণা। গ্রামবাসী অনুপ রাই বাড়ির কলকে দেখিয়ে জানালেন এই কলে জল আসে ঠিক। তবে সময় একেবারেই কম। মাত্র ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই জল শেষ হয়ে যায়। এরপর আমাদের পানীয় জল যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। কোথায় জল পাবো বলুন তো। একসময় বনগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ দিয়েই এই জলের কলের ব্যবস্থা হয়েছিল। জল সমস্যার সমাধান অবশ্য হয়নি।’
আর এক বাসিন্দা কালে তামাং বলেন, ‘এলাকার মধ্যে একটি রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তায় এবড়ো খেবড়ো পাথুরে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ে। কালের বক্তব্য, আমরা বহুদিন ধরেই এই রাস্তা তৈরির দাবি করে আসছি। আজ পর্যন্ত হল না। বুড়িখোলা বাসিরা মূলত কৃষিজীবী আদা, সুপারি ইত্যাদি চাষাবাদ করেই জীবন জীবিকা চলে। লোকসভা ভোট তাদের কাছে অন্য আর পাঁচটা ভোটের মতোই। সেখানে জাতীয় কিংবা রাজ্যস্তরের কোন ইস্যু সেভাবে প্রভাব ফেলে না। ভোটে উন্নয়নের দাবিই প্রাধান্য পায় বুড়ি খোলায়।