গাজোল: বচসার জেরে এলাকার লোকজন নিয়ে বাসচালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক টোটোচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর গুরুতর জখম ওই বাসচালককে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে সমস্ত রুটের বাস বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখায় পরিবহনকর্মীরা। আজকের মধ্যে ওই টোটোচালক সহ ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীকাল জেলাজুড়ে বাস বনধের ডাক দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে বাস মালিক এবং বাস শ্রমিক সংগঠন। এদিকে আচমকা বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় মধ্যে পড়েছেন বাসযাত্রীরা। অন্যদিকে, সরকারি বাসগুলিতে দেখা গিয়েছে বাদুড়ঝোলা ভিড়। যদিও তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি অরবিন্দ ঘোষ বলেন, ‘মারধর করাটা ভীষণ অন্যায় হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না। প্রশাসনকে বলব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাস মালিক এবং বাস শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গ কথা বলব।‘
জানা গিয়েছে, মালদা থেকে গাজোল হয়ে চাঁচল যাওয়ার জন্য করলা ভিটা মোড় এলাকায় বাস ঘোরাচ্ছিলেন চালক সঞ্জয় দাস। তাঁর অভিযোগ, সেইসময় একটি টোটো বেপরোয়াভাবে চলে আসে বাসের সামনে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। সেখানে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বাস নিয়ে তিনি চলে আসেন স্ট্যান্ডে। সেখানে তিনি যখন যাত্রী নামাচ্ছিলেন সেইসময় টোটোচালক আরও বেশকিছু ব্যক্তিকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমস্ত বেসরকারি বাসচালক এবং কর্মীরা। অবিলম্বে অভিযুক্ত টোটোচালক সহ মারধরের ঘটনায় যুক্ত সকলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বাস বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় মালদা, রায়গঞ্জ, চাঁচল, বালুরঘাট, কালিয়াগঞ্জ সহ সমস্ত রুটের বাস। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
মালদা জেলা বাস ও মিনিবাস তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন এর জেলা সম্পাদক সুশান্ত তলাপাত্র জানান, সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে টোটোচালক সাহাপাড়া থেকে সমাজবিরোধীদের ডেকে নিয়ে এসে এক বাসচালককে বেধড়ক মারধর করেছে। এর আগেও ওরা এই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছিল। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবহনকর্মীরা।