উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ। এবার থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। বলাই বাহুল্য, ওই তিন দেশের সংখ্যালঘু হিসেবে ভারতে বিবেচিত হবেন হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান এবং জৈনরা। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে দেশ জুড়ে সরকারিভাবে সিএএ কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা দিন পনেরো আগেই ঘোষণা করেছিলেন, নির্বাচনের আগে সিএএ কার্যকর হবে দেশে। লোকসভার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার একদিকে যেমন বহু মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে চলেছে, তেমনি যে এই বিষয়টি ভোটের অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই সিএএ বিল সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করেছিল কেন্দ্র। আইনে বলা আছে যে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে যদি এই দেশে আশ্রয় চান তাহলে ভারত নাগরিকত্ব দেবে। কিন্তু এতদিন তা ফেলে রাখা হয়েছিল। ঠিক লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর করা হল এই আইন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আইন পাশ হওয়ারই ছিল, শুধু বিধি ঠিক করার বিষয় ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল, সেই মতোই সিএএ কার্যকর করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যে চারটি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সেই সভাতে প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন, ভোটের আগে সিএএ কার্যকর হবেই। প্রথম থেকেই তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলো সিএএ চালুর সর্বাত্মক বিরোধিতা করে আসছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, মানুষে মানুষে কোনও বৈষম্য তিনি মানবেন না। যে নাগরিকেরা ভোট দেন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে, তাঁরাই এ দেশের নাগরিক। তাই তাঁদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।