কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচ মামলায় ইডির তদন্তের গতি দেখে সন্তুষ্ট নয় আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করা যায় না।
বিচারপতির বক্তব্য, সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। কিন্তু তারা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে মাত্র প্রায় ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে। সবকিছুই কল্পনার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা করছে ইডি ও সিবিআই, এমন অভিযোগ করে জেল থেকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে করা ইডির মামলার রক্ষাকবচ চেয়ে এবং মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। তার শুনানি বৃহস্পতিবার অসম্পূর্ণ ছিল।
শুক্রবার সেই মামলায় ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু দাবি করেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র-র ফোন থেকে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কুন্তল, সুজয়ের কাছ থেকে পাওয়া একাধিক নথি থেকে প্রভাবশালীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। ইডি বলছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে। কিন্তু যোগ তো থাকতেই পারে! তদন্ত হোক। ইডির আইনজীবী জানান, মানিকের সঙ্গে সুজয়ের ফোনালাপের যে রেকর্ড ইডি পেয়েছে তার ভিত্তিতে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত না থাকা সত্ত্বেও তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তাই এখন মামলাটি থেকে তাঁকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক। মামলার চূড়ান্ত রায় আগামী ১৭ অগাস্ট হবে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে।