কলকাতা: বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে শুরু করে চাকরি, বহু জায়গায় এখন জাতিগত শংসাপত্র প্রয়োজন হয়। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে এই জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল সরকার। কিন্তু জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার জাল জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘একটিও জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসকের ওপর বর্তাবে।’
আসানসোল সদরে সাম্প্রতিককালে মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধের ১৭টি জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। সেই মামলায় এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘এই মামলা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। রাজ্যকে আরও তৎপর হওয়া উচিৎ।’ প্রধান বিচারপতির কথায়, জাল জাতিগত শংসাপত্র দিলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন প্রধান বিচারপতির কড়া নির্দেশ, ‘জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে কিনা তার ওপর নজর রাখবেন জেলাশাসক। উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন সমেত সার্কুলার জারি করবেন অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব। গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে একটি পচা আপেল থাকলেও রাজ্য তদন্ত করতে বাধ্য, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।