বক্সিরহাট: কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)-এর নাম করে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হল এক ব্যবসায়ীকে! মোবাইলে আসা এমন এক চিঠি ঘিরে শোরগোল তুফানগঞ্জ-২ এর নাজিরান দেওতিখাতা এলাকায়। এমনকি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে ওই ব্যবসায়ীর কাছে তিনদিনের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেএলও’র যুদ্ধ তহবিলে সেই টাকা জমা দেওয়া না হলে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার গোটা ঘটনা জানিয়ে বক্সিরহাট থানার দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী।
নাজিরান দেওতিখাতা এলাকার বাসিন্দা বিনয় দাস। পেশায় ট্রাক ব্যবসায়ী। ২০১৮ সালে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির হয়ে পার্থিবতে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। তবে সেই সময় ভোটে পরাজিত হন তাঁর স্ত্রী। তারপর থেকে আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তবে ব্যবসার সূত্রে তাঁকে অসমেও ছুটতে হয়। জানা গিয়েছে, গত শনিবার কেএলও’র নাম করে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে চিঠি আসে বিনয় দাস নামে ওই ব্যবসায়ীর হোয়াটসঅ্যাপে। তবে ব্যস্ততার কারণে হোয়াটসঅ্যাপে আসা চিঠি দেখতে পারেননি তিনি। বুধবার বিকেলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে। ফোনে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর মোবাইলে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেটা তিনি দেখেননি। তবে তিনদিনের মধ্যে দাবিমতো টাকা না দেওয়া হলে পরিবার সহ তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এরপরই বক্সিরহাট থানার জোড়াই ফাঁড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনা পুলিশ আধিকারিকদের কাছে মৌখিকভাবে জানান তিনি। বক্সিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর মোবাইলে আসা চিঠিতে কেএলও’র কামতাপুর ন্যাশনাল আর্মির সিও, এবং কালেক্টারের সই রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, কামতাপুরের পাশাপাশি এই অঞ্চলকে মুক্ত করার জন্য ১৯৮৩ সাল থেকে বিপ্লবী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অনুদান হিসেবে ওই ব্যবসায়ীর কাছে দশ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে।
ওই ব্যবসায়ী জানান, কোথায়, কাকে টাকা দিতে হবে তা কিছু জানানো হয়নি। আতঙ্কে রয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। এ বিষয়ে তুফানগঞ্জের এসডিপিও জ্যাম ইয়ং জিম্বা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর মোবাইলে আসা অচেনা নম্বরেরও খোঁজ চলছে।