উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি আন্দোলনকে সমর্থন প্রসঙ্গে ভারত-কানাডা দূরত্ব তৈরি হল। জি-২০ সম্মেলন থেকেই এই দূরত্বের কিছুটা আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এবার খলিস্তানিদের অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডায় নিযুক্ত এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্ত্রীসভা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ একেবারে প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। সোমবার ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের হাত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, কানাডার ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কানাডার নাগরিক হরদীপের খুনের সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন বলে মনে করছে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলি। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তবে কানাডার সার্বভৌমত্বের বড়রকম বিরোধিতা করা হয়েছে। দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, প্রাথমিক নিয়মও ভাঙা হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, খলিস্তানি নেতা খুনে ভারতের যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করছেন ট্রুডো।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপের। ভারতের মদতেই খুন করা হয়েছে বলে খলিস্তানিদের দাবি। ২০২২ সালে তাঁর মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল এনআইএ। যদিও কানাডার অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছে ভারত। ভারতের দাবি, কানাডায় ঘটে যাওয়া কোনও হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গেই ভারতের যোগ নেই।