উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের সংবাদ শিরোনামে তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এবার কেষ্ট মণ্ডলের ১১ কোটির সম্পত্তির হিসেব জমা পড়ল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। স্থাবর, অস্থাবর মিলিয়ে অনুব্রতর এই বিপুল সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছে ইডি-সিবিআই। একজন সাধারন মাছ বিক্রেতা হয়ে কী করে এত কোটির সম্পত্তি বানিয়েছেন, সেটাই আদালতে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। একসময় বীরভূমের এই দাপুটে নেতার নাম শুনলে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত। বিরোধীদের জন্য গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম দাওয়াই।আবার কখনও পুলিশকেও বোমা মারার হুমকি। সবেতেই অপ্রতিরোধ্য ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। এবার সেই কেষ্ট মণ্ডলের ১১ কোটির সম্পত্তির হিসেব দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে স্থাবর, অস্থাবর মিলিয়ে অনুব্রতর এই বিপুল সম্পত্তির কথা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একটা সময়ে বাজারে মাছ বেচতেন অনুব্রত। আর ধ্যান জ্ঞান ছিল তৃণমূল। ধমকে চমকে দলের নজর কাড়েন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। কেষ্টর দাপটে বীরভূম জেলায় একপ্রকার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বিরোধীরা। বর্তমানে গোরুপাচার মামলায় তিনি জেলবন্দি তিহাড়ে। আর সেই অনুব্রতর সম্পত্তির পরিমাণ জানলে একেবারে চোখ কপালে উঠবে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, এই বিপুল সম্পত্তি কার্যত জলের দরে কিনেছিলেন অনুব্রত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একেবারে সস্তায় সম্পত্তি কিনে নিতেন অনুব্রত। প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে পারতেন না অনেকেই। নামে, বেনামে এই সম্পত্তি কেনা হত। আসলে ধমকে, চমকেই চলত তাঁর সম্পত্তি কেনা। এনিয়ে কেউ কিছু আপত্তি জানালেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন অনুব্রতর দলবল। তাঁর দাপটে টু শব্দটি করার উপায় ছিল না।
ইডি সূত্রে খবর, ২৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি অনুব্রত হস্তগত করেছেন মাত্র ৬ লক্ষ টাকায়। যে ১১ কোটি টাকার সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে সেটা যে টাকায় কেনা হয়েছিল তার হিসেব। কিন্তু বাস্তবে তার বাজার দর অনেকটাই বেশি। সেটা প্রায় ১৭ কোটি হয়ে যেতে পারে। তবে শুধু অনুব্রতই নন, কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষী হওয়ার সুবাদে ধমকে চমকে সম্পত্তি বানিয়েছেন সেহগাল হোসেনও। সেহগাল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো।