উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার জড়িয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পালের নাম। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্তে অসহযোগিতা করলে পর্ষদ কর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে গৌতমবাবুকে তলব করে জেরা করতে হবে সিবিআইকে। জেরা করতে হবে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও। বিচারপতির এমন নির্দেশ পাওয়ার পরই পর্ষদের দুই কর্তাকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগে ওএমআর শিট নষ্ট সংক্রান্ত মামলায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। রিপোর্ট দেখার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে জেরা করার নির্দেশ দেন। সেই রিপোর্ট পড়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বুঝতে পারছি না পর্ষদ কেন বারবার তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালত তো কোনও নির্দেশ দেয়নি। তার পরেও তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চেয়ে তারা বারবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকার এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করছে না।”
দ্বিতীয়ার্ধে মামলাটির শুনানি শুরু হলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রিপোর্ট পড়ে আমার মনে হয়েছে পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে অবিলম্বে সিবিআইয়ের জেরা করা উচিত। আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দুই পর্ষদকর্তাকে জেরা করতে হবে সিবিআইকে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারবে সিবিআই।” বিচারপতির নির্দেশ পাওয়ার পরই গৌতম পালকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলে নির্দেশ পাঠায় সিবিআই। ১৮ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।