বক্সিরহাট: স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফলে বন্ধ রয়েছে স্কুল। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় ব্যাঘাত ঘটছে পড়াশোনায়। তাই স্কুল খোলার দাবিতে শনিবার রাস্তায় কাঠেরগুঁড়ি ও সবুজসাথীর সাইকেল ফেলে তুফানগঞ্জ-বোচামারি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হল শালবাড়ি হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় শালবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায়। পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। যদিও দীর্ঘক্ষণ বাদে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন ছাত্রছাত্রীরা।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের সপ্তাহখানেক আগেই ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি হাইস্কুলের শ্রেণিকক্ষে। ভোটপর্ব মিটে গেলেও স্কুলে রয়েছেন জওয়ানরা। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, দেড়মাস গরমের ছুটি কাটিয়ে সবে স্কুলে আসা শুরু করেছিল পড়ুয়ারা। ভোটের সপ্তাহখানেক আগে নিয়ে নেওয়া হয় স্কুল। আগামী অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু হয়ে যাবে স্কুলে। অথচ সিলেবাস এখনও শেষ হয়নি। কবে খুলবে স্কুল, তা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা না আসায় ধোঁয়াশায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রছাত্রীরা। তাই এদিন বাধ্য হয়ে স্কুল খোলার দাবিতে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে তাঁরা।
পরবর্তীতে তুফানগঞ্জ ২-এর বিডিও প্রসেনজিৎ কুন্ডুর সঙ্গে ফোন মারফত আলোচনার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের তরফে আগামী ২৭ তারিখ স্কুল খোলার আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেন ছাত্রছাত্রীরা। শালবাড়ি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবিদা পারভীন বলেন, ‘ভোটের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। তাই স্কুল খোলার দাবিতে এদিন পথ অবরোধে করা হয়েছে।‘
শালবাড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপম রায় কোঙ্গার বলেন, ‘বিডিও ফোনে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীদের সরিয়ে আগামী ২৭ তারিখ থেকে পুনরায় স্কুল খোলা হবে। সেই মতো ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নিয়েছেন তাঁরা।’ তুফানগঞ্জ মহকুমা শাসক বাপ্পা গোস্বামী জানান, জওয়ানদের দ্রুত শালবাড়ি স্কুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।