নিউজ ব্যুরো: ‘যেখানে অশান্তি ও হিংসার খবর পাবে সেখানেই পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করবে না।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার তথা বিএসএফের আইজি এসসি বুদোকোটি। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে আদালত জানিয়েছিল, গণনার পর অন্তত ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বাংলায়। এদিকে, ভোটের পরও রাজ্যে অশান্তি থামেনি। বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে উদ্বেগ রয়েছে দিনহাটা, ভাঙড়ের মতো এলাকা নিয়ে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে এবং স্বরাষ্ট্র সচিব, ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার তথা আইজি বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক হয়। রাজ্যের তরফে বিএসএফ কর্তাকে বলা হয়েছিল, অশান্তির খবর পেলে জেলা পুলিশকে না জানিয়ে বাহিনী সেখানে যেতে পারবে না। বিএসএফের আইজি স্পষ্ট জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করবে না। যেখানে অশান্তি ও হিংসার খবর পাবে সেখানেই যাবে। বিএসএফ কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তারপর রাজ্য পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন নেই। যে কারণে চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের অধীন বিষয় হলেও এখন হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি তাঁরা প্রতিবাদও করতে পারছে না।
নবান্নের কর্তারা মনে করছেন, অশান্তি-হিংসা অব্যাহত থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আরও বেশি দিন থাকতে পারে। সেকারণে এদিন নবান্ন থেকে সব জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কোথাও কোনও অশান্তি হতে দেওয়া যাবে না। বরং স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। জেলাশাসকদের এমন নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।