সামসী: রতুয়া-১ এর অন্যতম রাজনৈতিক উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা হল চাঁদমুনি। ভোট আসলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই সন্ধ্যা নাগাদ উত্তপ্ত হয়ে উঠল চাঁদমুনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খোচখামার গ্রাম। সেখানকার দশজন কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি, দোকান ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রায় ৪৫ জনের নামে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
খোচখামারে জিতেছে তৃণমূল। অভিযোগ, জেতার পর গ্রামে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দশ জন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। কংগ্রেস কর্মী নাজির হোসেনের অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে কোনও কিছুই অবশিষ্ট নেই। আলমারিতে ৬০ হাজার টাকা ছিল। সেটাও নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে মহিলারা আতঙ্কে রয়েছেন। অপর কংগ্রেস কর্মী মহবুল হকের অভিযোগ, তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি দোকানও ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি তিনি ওই দোকানের জন্য ব্যাংক থেকে ৬০ হাজার টাকা লোন নিয়েছিলেন।
রতুয়ার কংগ্রেস নেতা মহম্মদ হেসামুদ্দিনের বক্তব্য, তৃণমূলের ক্ষমতা ছিল না সুষ্ঠুভাবে ভোট করে জেতা। তাই পুরো চাঁদমুনির দুটি পঞ্চায়েতে ব্যাপক রিগিং ও ছাপ্পা ভোট করে জিতেছে। পুলিশকে বিষয়টি দেখার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে এলাকাজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সদ্য জয়ী ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদ প্রার্থী ফজলুল হক জানিয়েছেন, তৃণমূল হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা রিগিং, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা বাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত নয়। দলের বদনাম করার জন্য মিথ্যে অভিযোগ করছে কংগ্রেস। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। বুধবার ক্ষতিগ্রস্তরা রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।