শিলিগুড়ি: নির্মাণকাজ শেষ। সুপারস্পেশালিটি ব্লকের হস্তান্তরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চিঠি এল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সুপারস্পেশালিটি ব্লকের অন্তর্বিভাগের হস্তান্তর হচ্ছে। তবে, বেশ কিছু যন্ত্রপাতি আসা বাকি রয়েছে। ধাপে ধাপে সেগুলি চলে আসবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এরই মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে শুক্রবার এবং শনিবার এখানকার চারটি অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) প্রায় ১২টি অপারেশন হয়েছে। ওটিগুলির পরিকাঠামো দেখে খুশি ভিনরাজ্যের সার্জনরাও। হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেছেন, ‘অপারেশন থিয়েটারগুলিতে কিছু যন্ত্রপাতি কম রয়েছে। ফলে সব অপারেশন এখনই সুপারস্পেশালিটি ব্লকে করা সম্ভব নয়। আশা করছি দ্রুত সবকিছু এসে যাবে। আমরা পূর্ত দপ্তরকে ভবনটি নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছি। আগামী মাসের শুরুতেই ভবন হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনায় ২০১৫ সালে মেডিকেলে সুপারস্পেশালিটি ব্লক তৈরির অনুমোদন মিলেছিল। এখানে প্লাস্টিক সার্জারি, বার্ন ইউনিট, কার্ডিও থোরাসিক বিভাগ, ইউরো, নিউরো, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নেফ্রোলজি সহ বিভিন্ন বিভাগ থাকবে। সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় একবার এজেন্সি বদল সহ অন্য বহু টালবাহানার পরে গত বছরের শুরুতে এখানে বহির্বিভাগের পরিষেবা শুরু হয়েছে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এখনও অন্তর্বিভাগের পরিষেবা চালু করা যায়নি। ক্যাথল্যাব, হার্ট লাং মেশিন এখনও আসেনি।
এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে এই ভবন হস্তান্তর নেওয়ার জন্য মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পেয়েই হাসপাতাল সুপার ওই ভবনের সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার জন্য পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের বলা হয়েছে। সুপার বলেছেন, ‘পূর্ত দপ্তর সবকিছু খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার পরেই ভবনের দায়িত্ব নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, অ্যাসোসিয়েশন অফ মিনিমাম অ্যাক্সেস সার্জারি অফ ইন্ডিয়ার ইস্টার্ন জোনের কনফারেন্স উপলক্ষ্যে শুক্রবার এবং শনিবার সুপারস্পেশালিটি ব্লকের অপারেশন থিয়েটার ব্যবহার করে বেশ কিছু অপারেশন করা হয়েছে। মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রোগীদেরই অপারেশন হলেও চিকিৎসকরা সবাই ভিনরাজ্য থেকে এসেছিলেন। সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অমরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘সংগঠনের সম্মেলন কালিম্পংয়ে হচ্ছে। এখানে শুধু অপারেশনগুলো হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সার্জনরা সম্মেলনের অঙ্গ হিসাবে এখানে হার্নিয়া, গলব্লাডার স্টোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপারেশন করেছেন। এখানে এখনও অপারেশন থিয়েটারের পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো নেই। তাই তাঁরা বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছিলেন। ওই চিকিৎসকরা এখানকার অপারেশন থিয়েটারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’