চাঁচল: হয় না সঠিক পঠনপাঠন। সময়মতো খোলে না শিশুশিক্ষাকেন্দ্র। মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) ক্ষেত্রেও একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ। এনিয়ে শুক্রবার চাঁচল ১ নম্বর (Chanchal) খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দুলালগঞ্জ চকমহেশ শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে শামিল হলেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের (Parents) অভিযোগ, নামেই শুধু শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এই শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে খাতায় কলমে রয়েছে ৭৯ জন পড়ুয়া। কিন্তু শিশুশিক্ষাকেন্দ্রের দুরবস্থার কারণে এই মুহূর্তে নিয়মিত আসে ৩০ থেকে ৩৫ জন। বাকিদের খাতায় নাম থাকলেও তারা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এই শিক্ষাকেন্দ্রে রয়েছেন চারজন শিক্ষিকা (Teacher)।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শিশুশিক্ষাকেন্দ্র খোলার সময় সকাল ১১টা হলেও বেশিরভাগ দিন সঠিক সময়মতো তা খোলে না। শিক্ষিকারা গল্পে মজে থাকেন। মিড-ডে মিল দেওয়া হলেও পরিমাণে অত্যন্ত কম। শিশুশিক্ষাকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য তহবিলে টাকা এলেও সঠিক ব্যবহার হয় না। পানীয় জলের কোনও সুব্যবস্থা নেই এই শিক্ষাকেন্দ্রে। এমনকি এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic day) শিক্ষাকেন্দ্রে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়নি। অভিভাবকরা এনিয়ে একাধিকবার প্রধান শিক্ষিকাকে বললেও তিনি কর্ণপাত করেন না বলে অভিযোগ। এদিন পুনরায় শিক্ষিকারা সঠিক সময় শিক্ষাকেন্দ্রে না আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সরকারি আধিকারিকরা এসে সরজমিনে অভিযোগ শুনে যাক। এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন শিশুশিক্ষাকেন্দ্রের তিন শিক্ষিকা এসে হাজির হন। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকার দেখা পাওয়া যায়নি। শিক্ষিকাদের দাবি, ক্লাস সঠিকভাবে হয়। প্রার্থনা যেহতু ঘরের ভেতর হয় তাই অভিভাবকরা হয়তো বুঝতে পারেন না। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন না হওয়ার বিষয়টি মেনে নেন তাঁরা।
এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মুন্না সাহা জানান, সত্যি দুরবস্থা। উন্নয়ন তহবিলে ২৫ হাজার টাকা এসেছে, সেটারও সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। প্রধান সহায়িকা মিরারানি সাহার দাবি, সব অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন। এসডিও সৌভিক মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।