উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদে সূর্যোদয় হতেই ব্যস্ততা বেড়েছে ইসরোর। ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানকে ঘুম থেকে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা প্রহর গুনছেন কখন চন্দ্রযান-৩-এর থেকে মিলবে সংকেত। ১৬ দিন আগে ইসরো চন্দ্রযান-৩-কে পাঠিয়েছিল ‘স্লিপ মোডে’। এই সময় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আসতে আসতে সূর্য ডুবতে শুরু করেছিল। পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের ১ দিন। ২ সেপ্টেম্বর রোভার প্রজ্ঞানকে এবং ৪ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার বিক্রমকে পাঠানো হয়েছিল স্লিপ মোডে।
৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সকলেই অপেক্ষা করেছে ২২ সেপ্টেম্বরের জন্য। কেননা আজ চাঁদে ফের সূর্য উঠেছে। সেইমত শুক্রবার ইসরোর পুনরায় চন্দ্রযান-৩-কে জাগানোর কথা। তবে পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে আজ বিকেলে। এদিন বিকেলে স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই বলেন, ‘২৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল ফের জাগানোর চেষ্টা করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। রোভারটিকে মোটামুটি ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু কিছু কারণে রোভারটি ১০৫ মিটার সরে গিয়েছে।’
পাশাপাশি ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর পালানিভেল ভিরামুথুভেল বলেন, ‘চাঁদের রাত খুবই নিষ্ঠুর। চাঁদে রাত নামলে ভয়াবহ রূপ নেয় আবহাওয়া। মাইনাস ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায় তাপমাত্রা। এই মারাত্মক ঠান্ডায় ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের কলকব্জা ঠিক থাকবে কিনা সেই নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করেছিল গত ২৩ অগাস্ট। তারপর কেটে গিয়েছে ১৪ দিন। যদি আগামীকাল চন্দ্রযান-৩ জেগে না ওঠে তাহলে চাঁদের মাটিতেই থেকে যেতে হবে চিরতরে। কিন্তু প্রজ্ঞান এবং বিক্রম যে যে তথ্য ইতিমধ্যেই ইসরোকে দিয়েছে সেগুলি চাঁদ ও মহাকাশের গবেষণার কাজে অনেক এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে ভারতের বিজ্ঞানীরা।