চাঁচল: এ যেন স্বপ্নভঙ্গ! দীর্ঘ দুই দশক ধরে পুরসভার দাবি জানিয়ে এসেছে চাঁচলবাসী। বাম আমলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চাঁচলে এসে পুরসভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বাম জামানা পেরিয়ে তৃণমূলের জামানাতেও চাঁচলকে আরেকবার পুরসভা করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরও পুরসভা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহকুমা সদর যেখানে পুরসভা নেই। ২০২১ বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে চাঁচলে এসে ফের আরেকবার পুরসভার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেছিলেন, ‘শুধুমাত্র রাজ্যপালের স্বাক্ষর বাকি রয়েছে।’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয় তৃণমূল। চাঁচলবাসী ভেবেছিলেন এবার হয়তো অপেক্ষার অবসান হবে। কিন্তু তাঁদের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদায় প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরসভার আর্জি জানান চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এখন পুরসভা করা সম্ভব নয়। কারণ ভাঁড়ারে টান রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্য সামনে আসার পরই হতাশ চাঁচলবাসী।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আনজারুল হক জনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তহবিলে টাকা নেই। এদিকে তাঁর ভাইপোর নবজোয়ার কর্মসূচিতে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এটা চাঁচলের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হল। কংগ্রেস এর প্রতিবাদে পথে নামবে।’ তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, ‘দিদি বলেছেন ফান্ড নিয়ে সমস্যা। এখন হবে না। পরে অবশ্যই হবে। আর আমি জেলা পরিষদের মাধ্যমে সব উন্নয়ন চাঁচলে পৌঁছে দিয়েছি। আশা করি পুরসভা নেই বলে সেরকম সমস্যা হবে না।’
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুবই সাধারণ একজন মানুষ, তাঁকে পাঠানো মেসেজের উত্তরও…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা অভিযোগের পালটা জবাবে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন…
জলপাইগুড়ি: বীরপাড়ার মাকড়াপাড়া চা বাগানের গভীর জলাধারে পড়ে যাওয়া মা হাতি ও হস্তিশাবককে দীর্ঘ তিন…
ময়নাগুড়ি: দিনদুপুরে চিতাবাঘের হামলায় (Leopard Attack) জখম হল বছর ২০-র এক তরুণ। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি…
মালদা ও চাঁচল: তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার মালদার দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। নির্বাচনি অশান্তি এড়াতে তৎপর…
শিলিগুড়ি: সিআইএসসিই(CISCE Result 2024) পরিচালিত দ্বাদশ শ্রেণির আইএসসি(ISC) পরীক্ষায় দার্জিলিং জেলায় সম্ভাব্য প্রথম মাটিগাড়া সেন্ট…
This website uses cookies.