অভিজিৎ ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকলেও হঠাৎ করে যখন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে তখন সেটার প্রভাব দেখা যাচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্যের উপরও। বাড়তে থাকা গরমে বিশেষ করে নাজেহাল অবস্থা বাচ্চাদের (Children sick)। জ্বর, পেট খারাপ, বমি যেন ঘরে ঘরে। বাচ্চাদের নিয়ে একদিকে যেমন সরকারি হাসপাতালের লাইনে ভিড় বাড়ছে অভিভাবকদের, তেমন পরিস্থিতি আবার চিকিৎসকের চেম্বারগুলিতেও। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালেও ভিড় বাড়ছে রোগীদের।
জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডলের কথায়, ‘আউটডোরের সঙ্গে ইন্ডোরেও ভিড় বাড়ছে। শুক্রবার ৩৭০ রোগী ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে।’
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের এই সময় বেশি সমস্যা দেখা যাচ্ছে। একদিকে তো বাচ্চাদের ইমিউনিটি কম। তাই বেশি রোদ এবং ধুলোবালির জন্য শরীরে প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে এই গরমে খাবার হজমেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মৃন্ময় বৈরাগীর কথায়, ‘বাচ্চাদের পেটের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ায় বমি ও পেট খারাপ হচ্ছে। হাসপাতালের আউটডোরে যে বাচ্চারা আসছে, বেশিরভাগই এই সমস্যা। কয়েকজনের আবার জ্বরও দেখা গিয়েছে।’
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অত্যধিক গরম অনেক বাচ্চাই সহ্য করতে পারছে না। সেজন্যই এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। আরেক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুনীল পান্না বললেন, ‘কয়েকজনের আবার জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনিও দেখা গিয়েছে। এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে শেষ এক সপ্তাহ ধরে। জ্বরের বেশিরভাগ বাচ্চাই ওষুধে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। তবে যাদের খিঁচুনি তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।’
জেলা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত সপ্তাহে চার থেকে পাঁচজন বাচ্চা খিঁচুনি নিয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হয়। তবে শেষ এক সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ জন বাচ্চাকে ভর্তি করা হচ্ছে ওই সমস্যার জন্য। এছাড়াও ত্বকের সমস্যা নিয়েও আসছেন অনেকে। সেগুলো নিয়ে অনেকেই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাচ্ছেন।