নাগরাকাটাঃ পুকুরে পদ্মফুল ফোটে। শাপলাও। তা বলে আস্ত একটি স্কুল! বহিরঙ্গে বিষয়টি ঠিক এমনই। নিকাশীর অভাবে বৃষ্টির জল জমে ছোটখাটো পুকুরের আকার নিয়ে তার মাঝে বর্তমানে অবরুদ্ধ হয়ে আছে নাগরাকাটার ঘাসমারি বস্তীর মহেন্দ্রধূড়া এলাকার একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। এর ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। জল ডিঙিয়েই চলছে চলাফেরা। কেউ আবার লাগোয়া কয়েকটি বাড়ির মাঝখান দিয়ে ঘুরপথে শিক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছে। নাগরাকাটার বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল বলেন, খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকারা জানাচ্ছেন আগে সমস্যা থাকলেও তা এতটা প্রকট ছিল না। জল বের হওয়ার পথ ছিল। সম্প্রতি শিক্ষা কেন্দ্রের পেছনে স্থানীয় স্তর থেকে কিছু নির্মাণ কাজের জন্য ভিত তৈরি করার পর থেকে এবারের বর্ষা শুরুতেই এই সমস্যার সূত্রপাত। চারপাশেই জল থইথই করছে। এখন আবার পচা গন্ধও ছড়াতে শুরু করেছে। শিক্ষা কেন্দ্রটির মুখ্য সহায়িকা সুজাতা বড়ুয়া বলেন, ছাত্রছাত্রীদের আসা যাওযার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর সমস্যা হচ্ছে। নিকাশী ব্যবস্থা তৈরি করা না হলে সমস্যা দূর হবে না বলেই মনে করি। বৃষ্টি হলে জমা জল উপচে ক্লাশ ঘরেও ঢুকে পড়ছে।
আরেক সহায়িকা সঙ্গীতা শৈব্য বলেন, ১৫ জুন গ্রীষ্মের ছুটির পর স্কুল খোলার পর থেকেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। এদিকে বর্ষা সবে শুরু হল। ছাত্রছাত্রীরা আসতে না পারলে কাদের কে পড়াব। ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটির রান্নাঘরের দশাও বর্তমানে বেহাল। ফুঁটো টিনের চাল দিয়ে ভেতরে জল পড়ে। মিড ডে মিলের রাঁধুনি অপর্ণা শৈব্য বলেন, বর্ষাকালে যে কিভা্বে রান্নাবান্নার কাজটি করি তা একমাত্র আমরাই জানি। উনুনের ওপর ঝরঝর করে জল পড়ে। দ্রুত ছাউনির সংস্কার দরকার।