গঙ্গারামপুর: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। গঙ্গারামপুর ব্লকে প্রচারে নামলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। শনিবার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ভোট প্রচারে যান তিনি। প্রচারে বেরিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারে এসে সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের সমর্থন করছেন, পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাতে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত।’
দণ্ডীকাণ্ডের পর তৃণমূলের ভোট ব্যাংক প্রভাব পড়েছে। দণ্ডীকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের তরফে চারটি বনধ ডাকা হয়। প্রায় প্রতিটি বনধে দণ্ডীকাণ্ড সহ রাজ্য সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবিদাওয়া রাখা হয়। দণ্ডীকাণ্ড ও আদিবাসী সংগঠনের বনধে তৃণমূলের প্রতি আদিবাসী সমাজের সমর্থনে রাশ আলগা হওয়ার চিত্র ফুটে উঠল কি? এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দণ্ডীকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবার আগে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। এটা একটি অপরাধ। এরপর তৃণমূল এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, বিজেপির যে নেতা আমাকে জুতোর নীচে রাখার কথা বলেছেন, বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে মূল পার্থক্য হল, তৃণমূল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, কিন্তু বিজেপি সেটা করে না।’
এদিন দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েত ও সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মিছিল, জনসংযোগ ও পথসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। দুপুরে দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী ঝর্ণা কর্মকার (দেব বর্মন), পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ টুডু সহ স্থানীয় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনি প্রচার সারেন মন্ত্রী। প্রচারে বেরিয়ে রাস্তায় পথ চলতি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। গির্জা ও মন্দিরে পুজো দেন। পরবর্তীতে কাশিয়াখাড়ি এলাকায় পথসভা করেন। এরপর সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী মৃণাল সরকারের হয়ে প্রচার সারেন। এদিকে বীরবাহা হাঁসদার এই নির্বাচনি প্রচারকে কটাক্ষ করে বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, আদিবাসী নেত্রী, মন্ত্রীকে দিয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার চালিয়ে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না। কারণ দণ্ডীকাণ্ডের জেরে আদিবাসীরা তৃণমূল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন।