কলকাতা: দিল্লির মাটিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিদেশ থেকে ফিরে দিল্লির কর্মসূচিতে যোগদান একরকম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ পায়ে চোট লেগেছে তাঁর। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ১০ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। সুতরাং এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পুরোটাই করতে হবে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির বুকে আন্দোলনে ঝড় তুলতে বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলায় কয়েকটি ভার্চুয়াল সভা করবেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, গোটা আন্দোলনের রূপরেখা ভার্চুয়াল সভা করে সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ থেকে নেতাদের জানাবেন অভিষেক। তার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে হবে ভার্চুয়াল প্রচার। সেটা করতে ব্লকে ব্লকে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে। অভিষেকের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়া হবে সবার কাছে। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নিজেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে দলের সবাইকে জানাতে চাইছেন। তবে এই ভার্চুয়াল সমাবেশের দিন এখনও জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের গোড়াতেই বকেয়া অর্থ আদায়ের দাবিতে দিল্লির রাজপথে বড় কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। ১, ২ ও ৩ অক্টোবর দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও ধর্নায় বসবেন। যার নেতৃত্ব থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা সহ অন্যান্য প্রকল্পের বকেয়া আদায়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে দিল্লিতে তিনদিনের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। ১ অক্টোবর দলের সবাইকে রাজধানীতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ২ তারিখ রাজঘাটে ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত তৃণমূলের অনুষ্ঠান হবে। ৩টা নাগাদ জমায়েত ও প্রতিবাদ। ৩ তারিখ যন্তরমন্তরে ধর্না অবস্থান রয়েছে তৃণমূলের। সেখান থেকে পদযাত্রা করে কৃষিভবন। হাতে ৫০ লক্ষ চিঠি। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না পেলে কৃষিভবনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই কর্মসূচি সবার মধ্যে পৌঁছে দিতেই ভার্চুয়াল সমাবেশ করবেন অভিষেক।