উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, নিজের পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে কিংবা প্রোমোশন ও চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা অপরাধ বলে তা গণ্য হবে। বৃটিশ আমলের বেশ কিছু আইনের বদল এনে নয়া বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র। শুক্রবার লোকসভায় নয়া বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা।
শুক্রবার সংসদে অমিত শা বলেন, ‘মহিলাদের উপর অপরাধ সংক্রান্ত আইনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং তাঁরা যেসব সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা এই বিলে তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রথম বিয়ে-চাকরি-প্রোমোশনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করলে তাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে’।
নতুন বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা মৃত্যুদন্ড হবে খুনের অপরাধে। কমপক্ষে ১০ বছর জেল বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে ধর্ষণের ঘটনায়। অন্যদিকে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে শাস্তি হবে ন্যূনতম ২০ বছর কিংবা দোষী সাব্যস্ত হলে অপরাধীর বাকি সময়ের জন্য কারাদণ্ড হবে। যদি কোন মহিলার ধর্ষণের পর মৃত্যু হয় অথবা এর ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে থাকে মহিলার, তাহলে সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হবে দোষীকে।যার মেয়াদ কমপক্ষে ২০ বছর হবে।
এধরনের মামালায় এরআগে দেখা যেত, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ এনে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন মহিলারা। এনিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে নির্দিষ্টি কোনও বিধান নেই। এপ্রসঙ্গে আইনজীবী শিল্পী জৈন বলেন, ‘এই ধরনের আইনের অভাবে, বিষয়গুলিকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না। উভয়পক্ষ থেকেই তাতে প্রচুর ব্যাখ্যা উঠে আসে। আমাদের দেশে মহিলারা পুরুষদের দ্বারা শোষিত হচ্ছেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও কোনও পুরুষ সহবাস করেছেন। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট পুরুষের যদি ওই মহিলাকে বিয়ের কোনও ইচ্ছা না থাকে তাহলে সেটা এক ধরনের অপরাধ।’ তিনি আরও বলেন ‘চাকরি ও প্রোমোশনের আশ্বাসের সঙ্গে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিকে এই আইনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ঠিক নয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে প্রোমোশন, চাকরির প্রতিশ্রুতিকে জোড়া ঠিক নয়, কারণ বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভালবাসা আস্থার উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে, চাকরি অথবা প্রোমোশনের আশ্বাস দিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন অপরাধ বলেই গন্য হবে।এটা পারস্পরিক সুবিধার সম্পর্ক।