চোপড়াঃ চোপড়ায় চা বাগানের জমি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। বহিষ্কৃতরা প্রত্যেকেই সংগঠনের চোপড়া ব্লকের পদাধিকারী। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংগঠনকে ভুল বুঝিয়ে জমি কেলেঙ্কারি সহ নানান আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তারা। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেঙ্গেল অভিযানের নেতারা।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের চোপড়া ব্লকের তিন পদাধিকারীকে বহিষ্কার ঘিরে রীতিমত কাদা ছোডাছুড়ি শুরু হয়েছে সংগঠনের অন্দরে। বহিষ্কার করা হয়েছে চোপড়ার ব্লক সভাপতি সরকার মুর্মু, জেলা সভাপতি দুর্গা মুর্মু ও জেলা পরগনা লুপসা হাঁসদা। এই প্রসঙ্গে জোনাল নেতৃত্বের বক্তব্য, সংগঠনকে এতদিন অন্ধকারে রেখে বহিষ্কৃতরা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জোনাল সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন, বাগান মালিকের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জোনাল কমিটির সিদ্ধান্তে অবশেষে এলাকায় খোঁজ খবর করতে একটি পরিদর্শক দল পাঠানো হয়। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনজনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জোনাল সম্পাদকের কথায়, ‘প্রথম দিকে স্থানীয় নেতৃত্ব সংগঠনকে বুঝিয়েছিল চা বাগানে আদিবাসী শ্রমিকরা কাজ হারাতে বসেছে। কিন্তু বাস্তবে কেউ কাজ হারায়নি। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে লুপসা হাসদা ও সরকার মুর্মু বহিরাগতদের থেকে টাকার বিনিময়ে চা বাগানের জমিতে অবৈধভাবে বসিয়েছেন। তারা এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। সংগঠনকে এতদিন ভুল বোঝানো হয়েছে। সেখান থেকে ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে’। এরই মধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা প্রশাসন মহলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে বহিষ্কৃত ব্লক সভাপতি সরকার মুর্মুর পাল্টা অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়। জোনাল কমিটি নিজেই জমি কারবারিদের সঙ্গে জড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির দারস্থ হব।
চোপড়া থানার হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি চা বাগানের জমি আন্দোলন নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আন্দোলনে সরব হয়েছিলেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের চোপড়া ব্লক কমিটি। এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর আগে একবার গুলি চলাচলেরও অভিযোগ উঠে। মাঝে মধ্যে উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। যে কোনও সময় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।