অভিজিৎ ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: প্রায় দশদিন আগে রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পোখরি থেকে আদমা যাওয়ার রাস্তায় ধস নামে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধস নামার জায়গা আরও বেহাল হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা। যে কোনও সময় আদমার সঙ্গে অন্য এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
এদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়দের যাতায়াতের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে পড়লেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার জেলার শেষ সীমানা বলেই কি অবহেলা? এমনই প্রশ্ন করছেন বক্সা পাহাড়ের আদমা, তরিবাড়ি, পোখরির মতো গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। এবিষয়ে রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনাম জ্যাংমো ডুকপা বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতের এত ফান্ড নেই ওই জায়গা সংস্কার করার। বিডিওকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কোনও কাজ হচ্ছে না। এবার জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার বিষয়টি জানাব।’
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দশদিন আগে পোখরি থেকে আদমা যাওয়ার রাস্তায় ধস নেমেছিল। শেষ কয়েকদিনে বৃষ্টিতে ধস নামার জায়গা আরও বেহাল হয়েছে। জেলার কালচিনি ব্লকের এই এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন, এবার আদমার সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে অন্য এলাকার। যদিও আদমা থেকে পাহাড়ের নীচে নামার আরেকটি রাস্তা রয়েছে, সেটি অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। আদমার বাসিন্দারা জানালেন, আদমা থেকে আলিপুরদুয়ার বা কালচিনিতে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে হলে পাহাড়ের বাসিন্দারা হাঁটাপথে পোখরি পর্যন্ত আসেন। সেখান থেকে গাড়ি পাওয়া যায় নীচে নামার জন্য। তবে রাস্তা খারাপ হওয়ায় একদিকের বাসিন্দাদের আরেকদিকে যাওয়া আরও মুশকিল হয়ে উঠেছে। দোচিজ্ঞচি ডুকপা নামে আদমা গ্রামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা এত অসহায় অবস্থায় রয়েছি। তবুও প্রশাসন কেন রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি দেখছে না বুঝতে পারছি না। হয়তো কোনও বড় বিপদ হলেই প্রশাসনের টনক নড়বে।’ তবে ধসের কারণে বক্সা পাহাড়ের রাস্তা বেহাল হওয়ার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার রাস্তা সংস্কারের দাবি উঠে এসেছে। এবার কবে কাজ শুরু হয়, সেদিকেই তাকিয়ে বাসিন্দারা।