রায়গঞ্জ: পৌষ সংক্রান্তির দিনে রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের শিল্পী নগরে ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠলেন তরুণ থেকে প্রবীণরা। পৌষ সংক্রান্তি মানেই পিঠে-পুলি আর ঘুড়ি (Makar Sankranti)। সোমবার বাংলার অনেক জায়গাতেই আকাশে রঙিন ঘুড়ি দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। শহর থেকে গ্রামেগঞ্জে পৌষ সংক্রান্তির দিনে ঘুড়ি ওড়ানো প্রথা বহুদিনের। সেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে রায়গঞ্জে ঘুড়ি উৎসবে মাতলেন বাসিন্দারা। মকর সংক্রান্তির শুভ দিনে ঘুড়িই যেন খুশি ও স্বাধীনতার বার্তা বহন করে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ মনে করে ঘুড়ি ওড়ালে নতুন ভাবনার উদয় হয়।বর্তমানে ব্যস্ততার যুগে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায় না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোবাইল আর কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন অধিকাংশ মানুষ। ছোট ছোট বাচ্চারা মোবাইলে গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাই বাড়ির ছাদে বা মাঠে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায় না তাদের। তবে রায়গঞ্জ শহরের বেশ কিছু মানুষ সেই পুরোনো ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছেন। রায়গঞ্জ শহরের শিল্পীনগরে এদিন দেখা গেল পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ঘুড়ি খেলায় মেতেছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা। বসেছে মেলা।
বুড়োবুড়ি মেলা নামে পরিচিত এইমেলায় আয়োজন করা হয় ঘুড়ি উৎসবের। প্রায় দুই শতাধিক মানুষ যোগ দিয়েছিলেন ঘুড়ি উৎসবে। এই মেলার মূল উদ্যোক্তা সুশান্ত মণ্ডল জানান, ১৯৬২ সালে আমার বাবা ও মা বাংলাদেশ থেকে আসার পর শিব ও দুর্গাপুজো চালু করেন এই দিনে। শিব ও দুর্গার বৃদ্ধ বয়সের মূর্তি গড়ে পুজো করা হয় বলে বুড়ো-বুড়ির পুজা বলা হয়ে থাকে। পুজো উপলক্ষ্যে মেলা বসে এবং ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
ঘুড়ি উৎসবে অন্যান্যদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন ৭৬ বছরের বিশ্বনাথ বসাক। তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় ঘুড়ি ওড়াতাম। বুড়োবুড়ি মেলায় প্রতিবছরই আমি অংশ নিয়ে থাকি। এবারেও পৌষ সংক্রান্তির দিনে ঘুড়ি উৎসবে এসেছি আনন্দ উপভোগ করতে।’