মানিকচক: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর থেকেই ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যদের সহায়তায় উপভোক্তাদের কাছ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ সামনে এসেছে। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে পঞ্চায়েত কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যের মারামারির ঘটনাও ঘটেছে মানিকচকে। পুলিশ প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তবে এবারের অভিযোগটা একটু আলাদা। এবার অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের জিআরএস ও ভিএলই-র বিরুদ্ধে। ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়ো উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে তোলা আদায়ের চেষ্টা করছে পঞ্চায়েত কর্মীরা। এমনই গুরুতর অভিযোগ মানিকচকের নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জিআরএস ও ভিএলই-এর বিরুদ্ধে।
যদিও পঞ্চায়েত কর্মীদের সাফাই, ভুলবশত একজন উপভোক্তার প্রাপ্য টাকা অন্য উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। অভিযোগকারীর দাবি, ভুলবশত নয় ইচ্ছাকৃতভাবে তার প্রাপ্য টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়েছে পঞ্চায়েত কর্মীরা। এই মর্মে উপভোক্তা জরিনা বিবি মানিকচকের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জরিনা বিবি বলেন, ‘আমি ১০০ দিনের কাজ করেছি। অথচ মজুরি পাইনি। পরে জানতে পারলাম আমার অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকে আমাদের এলাকার অন্য জরিনা বিবির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। অথচ সে কাজ করেনি। জেনে বুঝে টাকা ভাগাভাগির জন্য পঞ্চায়েত কর্মীরা আমার প্রাপ্য টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এই কাজ করেছে। যেহেতু তাদের দাবি মতো তোলার টাকা দিতাম না। আমি আমার মজুরি চাই।’
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মেহেদুলের বক্তব্য, ‘দুই মহিলার নাম জরিনা বিবি থাকলেও উভয়ের জব কার্ড নম্বর আলাদা। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আধার কার্ড সহ বিভিন্ন কাগজপত্র পঞ্চায়েতের জিআরএস এবং ভিএলই জমা নিয়েছে। জেনে বুঝে করেছে না ভুলবশত হয়েছে তা পঞ্চায়েত কর্মীরাই সঠিকভাবে বলতে পারবে।‘
নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিএলই ছোটন সরকার বলেন, ‘ওই এলাকায় একই নামের দুই মহিলা শ্রমিক রয়েছেন। উভয়ের স্বামীর নামও একই। তাই অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে মিসম্যাচ হয়েছে। ভুলবশত এই ঘটনাটি ঘটেছে।‘ নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জিআরএস নুর আলমের বক্তব্য, ‘আমি বিষয়টা জানি না। যদি মিসম্যাচ হয়ে থাকে তবে তা সমাধান করে দেওয়া হবে।’
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন ‘এলাকার তৃণমূল প্রধান মেম্বার পঞ্চায়েত কর্মীরা টাকা ভাগাভাগির উদ্দেশ্যে এইগুলো করছে। টাকা আত্মসাৎ ছাড়া এদের কোনও কাজ নেই। তোলাবাজি এদের কাজ।’