হলদিবাড়ি: সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠল হলদিবাড়ি পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম আইনি প্রক্রিয়া মানা হয়নি বলে অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটে তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয় কাটা গাছের ডালপালা, পাতা সবকিছু। ঘটনায় হলদিবাড়িজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ক্ষুব্ধ হলদিবাড়ির পরিবেশপ্রেমীরা। যদিও পুরসভার সাফাই, তাদের জমির গাছগুলি সরকারি নিয়মেই নিলাম ডেকে বিক্রি করা হয়েছে। এতে পুরসভা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে।
সূত্রের খবর, বাজার চত্বরে থাকা পুরাতন বাস টার্মিনাসের ভিতরে দুটি পুরোনো গামার ও একটি কদম গাছ ছিল। সম্প্রতি ওই টার্মিনাসটি এক বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা সংস্কারকাজ করবে। এজন্য গাছগুলি কাটা জরুরি হয়ে পড়ে। পুরসভা নিলাম ডেকে মাত্র ১২ হাজার টাকায় গাছগুলি বিক্রি করে দেয়। অভিযোগ, সরকারি নিয়মে বুনো গাছের তালিকায় রয়েছে গামার। এই গাছ কাটার জন্য বন দপ্তরের অনুমতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু এক্ষেত্রে পুরসভা বন দপ্তরের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। সরকারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গাছগুলি কেটে দেয় পুরসভা।
এ প্রসঙ্গে বন দপ্তরের হলদিবাড়ির বিট অফিসার গৌতম মজুমদার বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, ‘পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী নিলাম করে গাছগুলি কেটে বিক্রি করা হয়েছে। এরপরও বন দপ্তর মনে করলে পুরসভার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।’
হলদিবাড়ির পরিবেশপ্রেমী সুমন দাসের দাবি, অতীতেও হলদিবাড়ি-মেখলিগঞ্জ রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের জন্য প্রচুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল। তারপর থেকে শহরে গাছের সংখ্যা কমে গিয়েছে। হলদিবাড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ নতুন গাছ না লাগিয়ে উলটে গাছ কাটছে। সরকারি নিয়মে রয়েছে একটি গাছ কাটলে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়মও মানা হয়নি।