হরিশ্চন্দ্রপুর: তৃণমূলের মদতে শ্মশানের জমি থেকে ব্যাপক হারে মাটি কাটার অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরে। গ্রামবাসীরা বারবার ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে থানা এমনকি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে শ্মশানের জমি ফেরত এবং জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ভূমি সংস্কার দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশবাহিনী।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশান অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, যে জমি শ্মশানের নামে রেকর্ড রয়েছে সেই জমি, জমি মাফিয়ারা নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। তারপর সরকারের কাছে মাটি কাটার ডিসিআর নিয়ে ১৩ ফুট গভীর মাটিকাটা হয়েছে। তারপর সেই মাটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায়। থানা এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে মাসপিটিশন দেন গ্রামবাসীরা। পরবর্তীতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে অধিকারিকরা আসেন তদন্ত করতে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এভাবে ১৩ ফুট গভীর মাটিকাটা হলেও কেন এখনও কোনও পদক্ষেপ নেই। প্রশ্নের মুখে মাটিকাটা আটকানোর জন্য গঠিত তিন সদস্যের কমিটির ভূমিকাও। যে কমিটিতে রয়েছেন বিডিও, বিএলআরও এবং আইসি।
সোমবার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিনিধি বিরু দাস এবং উপপ্রধান জুল্লুর রহমান শ্মশান পরিদর্শনে যান। সব কিছু মাপজোখ করার পর তাদেরও চক্ষুচরক গাছ। তাদের সামনেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। উপপ্রধানের অভিযোগ, শাসকদল এবং প্রশাসনের মদতে এই কাজ হয়েছে। বিজেপিরও একই অভিযোগ। তারপরেই এলাকাবাসী হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহার সঙ্গে দেখা করেন প্রধানের প্রতিনিধি উপপ্রধান এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিমান ঝা। বিমান ঝা পরবর্তীতে বিক্ষোভ সামাল দেন। তৃণমূলের দাবি, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। মাফিয়াদের কোনও দল থাকে না। ব্লক তৃণমূলের ছাত্র সভাপতি বিমান ঝাঁর বক্তব্য, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও বিষয় নেই। আমরাও গ্রামবাসীদের সঙ্গে রয়েছি। মাফিয়াদের কোনও দল হয় না। ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।