নয়াদিল্লি: এনডিএ’র বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র লড়াই শেষপর্যন্ত সফল হবে? কানাঘুষোয় শরিক দলগুলির মধ্যে এনিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বামেদের সুরে ২৪, আকবর রোডও কার্যত ইঙ্গিত দিল ‘ইন্ডিয়া’তে সোনিয়া-মমতা-রাহুল একসঙ্গে হলেও বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করবে কংগ্রেস। একইভাবে কেরল ও ত্রিপুরাতেও বামেদের বিরুদ্ধে লড়বে তারা।
বিহারের বৈঠকের পর সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ইউপিএ আমলের উদাহরণ টেনে জানিয়েছিলেন, সেই সময় যা হয়েছিল, এবারও তাঁরা সেভাবেই এগোবেন। অর্থাৎ বিজেপিকে ঠেকাতে নির্বাচন পরবর্তী সমঝোতা করবেন। এবার কংগ্রেসের মুখেও শোনা গেল কার্যত সেই বুলি। বেঙ্গালুরুতে উপস্থিত থাকা এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, কেরলে কোনওভাবেই এলডিএফ এবং ইউডিএফের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই সম্ভব নয়। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় যা ঘটেছে, তাতে প্রদেশ স্তরের নেতৃত্বের বক্তব্যও ফেলে দেওয়ার নয়। কোন ফর্মুলায় আসন সমঝোতা করবে জোট? কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার কাছে জানতে চাওয়া হলে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার আপত্তির কথাও। বলেন, এতগুলো দল একসঙ্গে এলে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকাটাই স্বাভাবিক।
বিজেপির ‘ইন্ডিয়া’-‘ভারত’ বিভাজন প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছে কংগ্রেস। এক শ্রেণির বক্তব্য, অবশেষে দুই দেশ তত্ত্ব মেনে নিল বিজেপি। যেখানে রাহুল দাবি করতেন ইন্ডিয়া হল মোদি ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শিল্পপতি ও হাতেগোনা কিছু উচ্চবিত্তের, ভারত হল কোটি কোটি মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের। কংগ্রেসের বক্তব্য, শুধু ‘ইন্ডিয়া’ নয়। তাদের নামকরণে আছে ‘ভারত’-ও। কারণ নয়া জোটের ট্যাগলাইন হল, ‘জিতেগা ভারত’।