হরিশ্চন্দ্রপুর: জাল প্রতিবন্ধী শংসাপত্র (Fake Handicap Certificate) কাণ্ডে কংগ্রেসের (Congress) এক বুথ সভাপতি সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করল মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) পুলিশ। অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে জাল শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন ওই বুথ সভাপতি। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত উত্তর শালদহ গ্রামে জনসংযোগ এবং পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে বিশেষভাবে সক্ষমদের দেওয়া জাল শংসাপত্রের প্রতারণাচক্রের পর্দা ফাঁস হয়। পর্দাফাঁস করেন বিডিও সৌমেন মণ্ডল। গোটা ঘটনায় পুলিশের এক হোমগার্ড, এক তৃণমূল কর্মী সহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই প্রতারণাচক্র। যেখানে বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছে। যাঁদের মোটা টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে জাল শংসাপত্র। এমনকি অনেকে বিশেষভাবে সক্ষম না হওয়া সত্ত্বেও ওই জাল শংসাপত্র দিয়ে ভাতা পাচ্ছেন। আর বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত উপভোক্তারাই। ধৃতদের জেরা করে এই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও দু’জনের নাম উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে প্রতারকদের জালে আনতে তৎপর হয় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় ডমরকলা গ্রামের বাসিন্দা মাসুম এবং ঝিকোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল হক। মাসুম তৃণমূলকর্মী এবং রাসেদুল হক কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। রবিবার ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে একযোগে কটাক্ষ করে বিজেপি।
জেলা বিজেপির সাংগঠনিক কমিটির সদস্য রূপেশ আগারওয়ালের অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে প্রশাসনিক দপ্তর ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। সুযোগ পেলে কংগ্রেসও তৃণমূলের দুর্নীতিতে মদত যোগাচ্ছে। যদিও কংগ্রেস নেতা আব্দুস শোভানের মতে, এর পেছনে তৃণমূলের অনেক রাঘববোয়ালরা রয়েছে। তৃণমূলের মদতে সব হচ্ছে। এদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমানের সাফ বক্তব্য, প্রশাসন এবং পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। তাই প্রতারকরা গ্রেপ্তার হয়েছে।