উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেও হিংসা অব্যাহত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি এক কংগ্রেস কর্মী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার জেলার রতুয়া থানার ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকায়। ওই কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থী, তাঁর স্বামী সহ দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও পাঁচ কংগ্রেস কর্মী। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, মৃত কংগ্রেস কর্মীর নাম ফটিকুল হক (২৪)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গতকাল রামপুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রোজিনা খাতুন জয়ী হয়। তিনি জয়লাভ করার ফলে তাঁর সমর্থকদের নিয়ে খুশিতে গ্রামে আবির খেলা ও বাজি ফাটাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। এক বিজয় মিছিলও বের করা হয়। সেইসময় কিছু তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক ফটিকুলের বাড়িতে কয়েকটি বাজি ফাটায়। ফটিকুল তাঁর বাড়িতে বাজি ফাটাতে বারণ করেন। এ কথা শোনার পর শাসকদলের কর্মীরা তাঁকে লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে। ফটিকুলকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তারপর গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে রতুয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় মোট ৩৭ জন শাসকদলের কর্মী সমর্থকের নামে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত ফটিকুলের স্ত্রী রুবিনা খাতুন। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, পারিবারিক ঝামেলার রেশ গিয়ে পড়ল তৃণমূলের বিজয় মিছিলে। তৃণমূলের দুই গ্রুপের ঝামেলায় মারধরে চাঁচল-২ ব্লকের ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাণপুর এলাকায় মৃত্যু হল মফিজুদ্দিনের। অভিযোগ, বিজয় মিছিলের সময় জালালউদ্দিনের গোষ্ঠী হামলা চালায় বিজয়ী প্রার্থী তারিকুল শেখের মিছিলে। সেইসময় মফিজুদ্দিনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় মফিজুদ্দিনের। ইতিমধ্যে চাঁচল থানার আইসি হাসপাতালে গিয়ে পুরো বিষয়টির খোঁজ নেন।