মাটিগাড়া: সরকারি জমিতে মন্দিরের শিলান্যাস করে বিতর্কে জড়ালেন দার্জিলিং জেলা সমতল তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। শিলিগুড়ি মহকুমা মাটিগাড়া এলাকায় বানিয়াখাড়িতে প্রায় ৩০ কাঠা জমির মধ্যে ২০ কাঠা জমিতে ইতিমধ্যে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, একটি সরকারি শৌচালয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এছাড়া ওই জমিতে একটি পিএইচই’র পাম্প রয়েছে। কিন্তু অবশিষ্ট জমিতে জগন্নাথ গৌড়ীয় মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বানিয়াখাড়ির স্থানীয়রা। রবিবার সেখানেই মন্দিরের শিলান্যাস করে বিতর্কে জড়ালেন পাপিয়া। তার কথায়, জমিটি খাস কিনা আমার তা জানা নেই? তবে যে কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে সেটি রাখার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে জমির দলিল দেখে উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করি না।
মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘খাস জমিতে কোনও মতেই উন্নয়নের প্রকল্প ছাড়া অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যায় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’ পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াখারি মৌজার ২৭৪ নম্বর দাগের জমিটি দীর্ঘদিন থেকেই সরকারি খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। সেই অনুযায়ী রবিবার বিকেলে মন্দিরের শিলান্যাস করা হয়। এদিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে পাপিয়ার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মাটিগাড়া ব্লক সভাপতি প্রফুল্ল বর্মন, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি খগেস্বর রায়, পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ শাহিদ সহ অন্যান্যরা। কিন্তু জমিটি যে সরকারি খাস জমি তা স্বীকার করেন মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য খগেশ্বর রায়। তিনি বলেন, ‘এই মন্দিরটি ইতিপূর্বে যে জায়গাতে করার কথা ছিল সেখানে আইনি জটিলতা আছে। তাই পূর্ব জমির পরিবর্তে সরকার থেকে খাস জমিটি তাদের দেওয়া হয়েছে।’