সৌরভ কুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: ভোটের আবহে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ‘ডান্ডা মেরে ঠান্ডা’ করে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিজেপির ‘দালাল’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ছড়িয়েছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur)।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিকোডাঙ্গা বুথের তৃণমূলের সদস্য আখতারি খাতুনের বাড়ি থেকে দলীয় পতাকা খুলে নেয় নির্বাচন কমিশনের সেন্ট্রাল অবজারভারের অধীনে থাকা একটি দল। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের এ অংশের ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান। এ নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে জানান, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বিজেপির দালালি করছেন। পরবর্তীকালে এই ধরনের ঘটনা চোখে পড়লে কমিশনের আধিকারিকদের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেওয়ার নিদান দেন তৃণমূল নেতা। ব্লক সভাপতির এই পোস্টকে প্রকাশ্যে সমর্থনও জানিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। যদিও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই ঝান্ডা খোলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমানের দাবি, ‘আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্য আখতারি খাতুনের বাড়ি থেকে নির্বাচন কমিশনের লোকেরা দলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। আমরা তো কোনও সরকারি জায়গায় পতাকা টাঙাইনি। আমরা আমাদের দলের সদস্যের বাড়ির দেওয়ালে পতাকা টাঙিয়েছিলাম। সেখান থেকে কেন পতাকা খোলা হল। আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের কিছু আধিকারিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন। আমরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি।’
যদিও এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। ব্যক্তিগত সম্পত্তিতেও তিনটির বেশি একই দলের পতাকা কিংবা একাধিক দলের একটি একটি করে তিনটির বেশি পতাকা লাগানো যাবে না। এটাই নিয়ম। হয়তো নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা সেই নিয়মটাই পালন করেছেন।’
বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগারওয়াল বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে তো আইনের শাসন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গোটা বাংলা বারুদের স্তূপে বসে আছে। ওরা এর আগে সরকারি জায়গায় নিজেদের দলের পতাকা টাঙিয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশনের আইন না মেনেই ওরা প্রচার করছে। আর এর বিরুদ্ধে আধিকারিকরা ব্যবস্থা গ্রহণ করল, তাহলে ওরা বিজেপির দালাল হয়ে গেল।’