ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলা থেকে মা কাকিমাদের কাছে থেকে চুলে তেল না দেওয়া নিয়ে বকা খায়নি এমন মেয়ের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া চুলে রঙ, স্ট্রেইট করা বা হিট দেওয়া থেকে শুরু করে চুল নষ্ট হওয়া সব কিছুর মূলেই কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই চুলে তেল না দেওয়া। কিন্তু আদতে তেল দিয়ে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখলেও উপরন্তু কিছু চুলের তেল আবার মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে চুল পড়ার (Hair fall) সমস্যা বাড়ায় ।
বিশেষ করে শীতকালে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হওয়ার জন্য চুলের স্বাস্থ্যের (Hair Care Tips) ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে চুলের তেলই একমাত্র সমাধান মনে হলেও যারা সোরিয়াসিসের মতো চুলের চরম সমস্যায় ভুগছেন তাদের তেল ক্ষতিকর।
তাই জেনে নিন চুলের তেল ব্যবহার না করেও চুলের স্বাস্থ্য (Hair Care Tips) বজায় রাখার সামান্য কিছু টিপস-
১ )চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখার ঘরোয়া প্রতিকার : ডিম, মধু, দই, কলা, মেথি এবং কারি পাতার মতো উপাদানগুলি সঠিক এবং নিয়মিতভাবে ব্যবহার চুলের পক্ষে খুবই উপকারী। এগুলি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি চুলের অনেক সমস্যারও সমাধান করে।
২) চুলকে তাপ থেকে রক্ষা : বর্তমানে স্টাইলিশ থাকার জন্য অনেকেই বিভিন্ন হেয়ার স্টাইলিং টুলস ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এইসব যন্ত্রপাতি চুলের ডগা ফাটিয়ে দেয়, চুল শুষ্ক করে এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই স্ট্রেটনার, ড্রায়ার এবং কার্লারের মতো গরম সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করার আগে সঠিক পদ্ধতিতে সবসময় চুলে তাপ প্রতিরক্ষামূলক স্প্রে ব্যবহার করা উচিত।
৩) চুলের জন্য রাসায়নিকহীন প্রসাধন : চুলের জন্য তৈরি হওয়া অধিকাংশ প্রাসাধনই রাসায়নিকে ঠাসা। এতে ক্ষতি হয় চুলের। এছাড়া চুলের জন্য ব্যাবহৃত শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার সবসময় অ্যালকোহল, প্যারাবেন, সিলিকন এবং সালফার মুক্ত হওয়া উচিত।
৪) সিল্কের কাপড়ের বালিশ আর বড় দাঁতের চিরুণির ব্যবহার : সুতির বালিশের কভারগুলি রুক্ষ টেক্সচারের কারণে চুলের ক্ষতি করতে পারে। সুতির কাপড় চুলের চিকিৎসায় ব্যাবহৃত দ্রব্যগুলি মাথা থেকে শুষে নিতে পারে। তাই সবসময় সিল্ক বা স্যাটিনের বালিশের কভার এবং চুল পড়া কম করতে বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা উচিত।
৫) স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা : বাহ্যিক উপায়গুলি ছাড়াও চুলের যত্ন নিতে স্বাস্থ্যকর ডায়েট অবশ্যই মেনে চলতে হবে। চুলের জন্য খাদ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল প্রোটিন এবং আয়রন। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রনযুক্ত সবুজ শাক, মাছ, কুমড়োর বীজ, মটরশুঁটি, ছোলা, সয়াবিন এবং সিরিয়ালস এবং প্রোটিনযুক্ত পনির, দুধ, সয়া, মসুর ডাল, মটর এবং দই রাখা উচিত।