কৌশিক সরকার, চৌধুরীহাট: অর্ধেক পড়ে রয়েছে বিকল হয়ে। কিছুর যন্ত্রাংশ গিয়েছে চুরি। আর সচল রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি। সাবেক ছিটমহল পোয়াতুরকুঠিতে সেচের জন্য স্থাপন করা সৌরশক্তিচালিত পাম্পসেটগুলোর (Pump set) বর্তমানে এমনই হাল। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাদা হোসেন, মিজানুর মিয়াঁ, শামসুল মিয়াঁ প্রমুখের একযোগে বক্তব্য, প্রথম এক-দুটো মরশুম চাষাবাদে সুবিধা হয়েছে। তারপর থেকে পাম্পসেটগুলি আর ব্যবহারযোগ্য নেই। সাবেক এই ছিটমহলে ১৮টি সোলার পাম্পসেট বসানো হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটির যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে নয়টি। বর্তমানে সচল মাত্র চারটি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহিরউদ্দিন আলি বলেন, ‘তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই এই অবস্থা। চুরির বিষয় নিয়ে পুলিশে অভিযোগও সেসময় দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও কিনারা হয়নি।’ তাঁর কথায়, সোলার পাম্পসেটগুলো সচল থাকলে সেচকর্মে অনেকটাই সুবিধা হত। সেকথা ভেবে ইতিমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় হয়। এরপর বাংলাদেশি ছিটমহল পোয়াতুরকুঠি কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের (Dinhata) বামনহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত হয়। ছিটমহল বিনিময়ের কিছু সময় পর সাবেক ছিটমহলগুলোর উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থে ওই সোলার পাম্প সেটগুলো স্থাপন করা হয়। অভিযোগ, প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারির অভাবে সেগুলোর একটা বড় অংশই বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। দিনহাটা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষিণী বর্মনের কথায়, ‘বিষয়টি শীঘ্রই খতিয়ে দেখা হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।’ দিনহাটা-২ ব্লকের বিডিও নিশীথ তামাং বলেন, ‘এ নিয়ে কেউ কিছু জানায়নি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’