ময়নাগুড়ি: ওডিশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর তোলপাড় গোটা দেশ। এখন পর্যন্ত ঘটনায় ২৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত বহু। দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তরুণ রায় (৩২) ও শৈলেন রায় (৪৪) নামে দুই ব্যক্তি। শৈলেনের দুটি হাত ভেঙেছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শৈলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তরুণের। এ খবর শুনে শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন তরুণের মা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রের খবর, তরুণ ও শৈলেন দুজনেই চেন্নাইয়ে গাড়ি চালকের কাজ করতেন। মাস তিনেক বাড়িতে থাকার পর ফের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তাঁরা কলকাতায় যান। শুক্রবার সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে তাঁরা দুজনে একসঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এস ওয়ান কামরায় ওঠেন।
এদিন বালেশ্বর হাসপাতাল থেকে ফোনে শৈলেন জানান, দুর্ঘটনার সময় তিনি নিজের আসনে বসে ছিলেন। আর তরুণ দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রেনের দরজার সামনে। দুর্ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওঠার পর আহত অবস্থাতেই তিনি তরুণের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিন দুজনের পরিবারের লোকেরা ময়নাগুড়ি থেকে ওডিশার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তরুণের বোন স্বপ্না রায় বলেন, “শুক্রবার ট্রেনে ওঠার পর দাদার সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয়। তারপর থেকে আর দাদার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দাদা কেমন আছে, কোথায় আছে, কিছুই জানি না।” ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসনের তরফে দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।