বেলাকোবা: মদ বিরোধী অভিযানে নেমে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। দলের এসসি, এসটি ও ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা বারোপাটিয়া অঞ্চলের উপপ্রধান কৃষ্ণ দাসের ওপর দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাটকাটা অঞ্চলের ডোডালিয়া হেলথ সেন্টার মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন কৃষ্ণ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাটকাটায় মদের অবৈধ কারবার সহ অসামাজিক কাজকর্মের জেরে তাঁরা অতিষ্ঠ বলে কৃষ্ণকে জানিয়েছিলেন স্থানীয় মহিলারা। এবিষয়ে তৃণমূল নেতার কাছে তাঁরা লিখিতভাবে অভিযোগও করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রমকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান কৃষ্ণ। তাঁদের দেখে কিছু মানুষ দৌড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অভিযোগ, কৃষ্ণ সেই বাড়িতে উপস্থিত হলে কয়েকজন দুষ্কৃতী লোহার রড নিয়ে তাঁর ওপর চড়াও হয়। হামলার জেরে তাঁর দাঁত ভেঙেছে ও ঠোঁট ফেটেছে। ঘটনার পরপরই কৃষ্ণ দাসকে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। কৃষ্ণ দাসের অভিযোগ, হামলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মীও ছিল। বিজেপির মদতেই এই হামলা। রাতে এবিষয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যদিও হামলায় মদতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ। তাঁর বক্তব্য, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হতে পারে। সেজন্য প্রকৃত তদন্ত হওয়া উচিত। বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করা হলে দলের তরফে তার মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্যাম প্রসাদবাবু।