ভুবনেশ্বর: ফের গড়াল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চাকা। অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি, স্বজনহারাদের আর্তনাদের স্মৃতি। তবে দুর্ঘটনার স্মৃতি পেছনে ফেলে ফের একবার শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল ট্রেনটি। ট্রেন চালু হলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরের বাহানাগা স্টেশনে ফের স্বাভাবিক হয় রেল পরিষেবা। ৫ জুন চেন্নাই থেকে ছাড়ে প্রথম শালিমারগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যা বুধবার সকালে এসে পৌঁছায়। এরপর দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় অপর ট্রেনটি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওডিশার বালাসোরের বাহানাগা বাজারের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে চলতে-থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে।
দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ডাউন লাইনে ও নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। সেই লাইন দিয়ে তখন উলটো দিক দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরাগুলি গিয়ে পড়ে ডাউন লাইনের উপর। বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন ট্রেনটি সেই বেলাইন কামরাগুলির উপর এসে পড়ে। হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। আহত বহু। উদ্ধারকাজে আনা হয় একাধিক উন্নত মানের যন্ত্র। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। সেইসব স্মৃতি নিয়েই ফের চালু হল করমণ্ডল এক্সপ্রেস।