রায়গঞ্জ: হাতে মেহেন্দি আর গলায় মালা। তার সঙ্গে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে বিয়ের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে কনে৷ তার সামনে গলায় মালা ও মাথায় টোপর পরে বসে রয়েছে পাত্র। আদলতের নির্দেশে এমনই বিয়ের আসর বসেছিল রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে। এদিন দুপুরে সংশোধনাগারে বন্দি অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে অভিযোগকারী যুবকের বিয়ের সাক্ষী রইলেন পুলিশকর্তা থেকে আইনজীবী ও ম্যারেজ রেজিস্ট্রার।
বছর তিনেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দুইজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে যুবতী জিনিসপত্র নিয়ে বেনারসে যায়। কিন্তু যুবকের বাড়ির লোকজন মেনে না নেওয়ায় সে ফিরে আসে রায়গঞ্জে। কিছুদিন পর আবার বেনারসে যায় সে। কিন্তু সেবারও তাকে ফিরিয়ে দেয় যুবক। এরপর রায়গঞ্জ থানায় দ্বারস্থ হয় যুবতী। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে বেনারস থেকে যুবক ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। মামলা আদালতে উঠলে বিচারক শর্ত দেন জামিন পেতে অভিযুক্ত যুবককে জেলেই বিয়ে করতে হবে অভিযোগকারী যুবতীকে। সেই মতো এদিনি রেজিস্ট্রি করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার শুভদ্বীপ মুখোপাধ্যায় জানান, এমন ধরনের বিয়ে প্রথম দিলাম। অভিযোগকারীর আইনজীবি দীপঙ্কর দাস বলেন, এমন ধরনের রায় ও বিয়ের ঘটনা আমার কর্মজীবনে প্রথম। জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজেশ কুমার মন্ডল জানান, আদালতের নির্দেশ যা এসেছে সেই মতো আজ বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।