উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য মোবাইল ফোনে লাগাতার হুমকি সিপিএমের মহিলা প্রার্থীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলা প্রার্থীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের অডিও ক্লিপ এখন ভাইরাল। তা সত্বেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল। হুমকির যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৯ নং বুথে সিপিএমের হয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন পায়েল রাজবংশী হালদার। তাঁর স্বামী গৌতম হালদার হাটে হাটে মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। জলপাইগুড়ি বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে পায়েল রাজবংশী হালদার তৃণমূলের রোষানলে পড়েন বলে অভিযোগ। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় পায়েলদেবী মনোনয়ন দাখিল করেন।
মনোনয়ন জমা করার পর থেকেই বিপদ আরও বাড়ে তাঁর। পায়েলদেবীর অভিযোগ, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য টেলিফোনে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। মনোনয়ন না তুললে হাটে ব্যবসা করতে অসুবিধা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই কারণেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে পায়েলদেবী ও তাঁর স্বামীর।
এই হুমকির বিষয়টি নিয়ে তিনি জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএম প্রার্থী পায়েল রাজবংশী হালদার। পায়েলদেবীর স্বামী গৌতম হালদার বলেন, ‘আমি হাটে হাটে মাছ বিক্রি করি। আমরা দিন আনি দিন খাই। আমার স্ত্রী ভোটে মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে শাসক দলের পক্ষ থেকে ফোন করে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছি।’
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল পরিচালিত পাহাড় পুর গ্রামপঞ্চায়েতের উপ প্রধান রেণু রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ আছে এবারে ভোটে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। সেই নির্দেশ মাথায় রেখে আমরা এবারের নির্বাচন পরিচালনা করছি। সুতরাং এই জাতীয় ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ নেই।’