হাতি দেখতে বেলাগাম ভিড়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শূন্যে গুলি বনকর্মীদের

চালসা ও নাগরাকাটা: জাতীয় সড়কের পাশে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে হাতির দল। আর সেই হাতির দল দেখতে শুক্রবার পথচলতি মানুষদের ভিড় উপচে পড়ল। যদিও পরে হাতিগুলো চাপরামারী জঙ্গলে ঢুকে যায়। এদিন বিকেলে কয়েকটি হাতি চালসা নাগরাকাটামুখী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মুর্তি সেতুর পাশে ও মুর্তি রেইল সেতুর লাগোয়া এলাকায় একটি ঝোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। সড়কের মুর্তি সেতু থেকে হাতিগুলোকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। হাতির খবর চাউর হতেই বিকেলে ওই এলাকায় বহু মানুষের ভিড় হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরা।

অন্যদিকে, ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ও বানারহাটের একাধিক এলাকায় বুনোদের দেখা নিয়ে পর্যটক সহ স্থানীয় মানুষদের। তাঁদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় বনকর্মীদের। হাতির সামনে চলে যাওয়া বেশকিছু উৎসাহী মানুষদের বাঁচাতে শূন্যে গুলি ছুড়তে হয় বনকর্মীদের। বন দপ্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, এদিন বানারহাটের ডুডুমারি ও নাগরাকাটার আপার কলাবাড়ি বস্তী লাগোয়া দুটি স্থানে ১৫-১৬টি করে হাতির দল ভোরবেলা থেকেই রয়ে যায়। অন্যদিকে, বানারহাটের নিউ ডুয়ার্স চা বাগানের ৫১ নম্বর সেকশনে দাঁড়িয়ে থাকে একটি বাইসন। বন দপ্তর জানাচ্ছে, হাতিগুলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডায়না কিংবা তোতাপাড়ার জঙ্গল থেকে এসেছিল। ফিরতে দেরি হয়ে যাওয়ায় এদিন সকাল থেকে ওই দুই স্থানেই রয়ে যায়। খবর পেয়ে হাতি ও বাইসনের ওপর দিনভর নজরদারি চালিয়ে যান বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের কর্মীরা। তবে বিপত্তি বাঁধে ডুডুমারি এলাকায়। বেশ কয়েকজন হাতির সামনে চলে যেতেই বুনোটি তেড়ে আসে। তড়িঘড়ি বনকর্মীরা শূন্যে গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।