রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: তুষার চিতার ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে বিশ্বের সেরা চিড়িয়াখানা দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক(Darjeeling Zoo)। গত ৩০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেই সাফল্যের সঙ্গে ৭৭টি তুষার চিতার জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে গত বছরই ছয়টি তুষার চিতার জন্ম হয়েছে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই সাফল্য নিজেদের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক মাধ্যমের পেজে তুলে ধরেছে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জুস অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়াম (ওয়াজা)। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই সাফল্যের বিশেষ প্রশংসা করেছে ওই সংস্থা(WAZA)।
ওয়াজার এই পোস্টে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও ব্যাপক খুশি। এতে কর্মীদের কাজ করার মানসিকতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলেইচি। তাঁর বক্তব্য, ‘এই ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রাম চালানোর জন্য আমাদের কর্মীদের দিনরাত খাটতে হয়। মাঝে মাঝে এই ধরনের উৎসাহ দেওয়া আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।’
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতা(Snow leopard)। ওয়াজার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন ৪০০০-৭৫০০টি স্নো লেপার্ড রয়েছে। ১৯৮৩ সালে গ্লোবাল ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগামের অধীনে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় তুষার চিতার কৃত্রিম প্রজনন শুরু হয়। ২০০৭ সালে দার্জিলিং চিড়িয়াখানাকে তুষার চিতার প্রজননের সমন্বয়কারী চিড়িয়াখানা হিসেবে ঘোষণা করে সেন্ট্রাল জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেই তুষার চিতার কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়। বিশ্বে একমাত্র দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেই সবচেয়ে বেশি কৃত্রিম প্রজননে জন্ম নেওয়া তুষার চিতা রয়েছে। গত বছরই ছয়টি তুষার চিতার জন্ম হয়েছে এই চিড়িয়াখানায়। সবক’টিই বেঁচে গিয়েছে এবং সুস্থ রয়েছে। একসঙ্গে এতগুলি তুষার চিতার বেঁচে যাওয়া এবং সুস্থভাবে বড় হওয়ার ঘটনা গত ৪১ বছরে প্রথম বলেই ওয়াজা জানিয়েছে। তবে শুধু তুষার চিতাই নয়, আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত রেড পান্ডারও(Red Panda) সফল প্রজনন হচ্ছে দার্জিলিংয়ের তোপকেদাড়া ব্রিডিং সেন্টারে।