শামুকতলা: নদীর ধারে বুনো হাতির মৃত্যু ঘিরে ছড়াল রহস্য। হাতিটি পূর্ণবয়্স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কার্তিকা জঙ্গল লাগোয়া হরগড়ি বস্তির পাশে তুরতুরি নদীর পাড় থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। কিভাবে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে এখন স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি বন কর্তারা। হাতিটির দেহ ক্রেন দিয়ে তুলে কার্তিকার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্ত করার পর দেহ সৎকার করা হবে সেখানে।
সকালে নদীর ধরে হাতির বিশাল দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা নর্থ রায়ডাক রেঞ্জে খবর দেন। রেঞ্জ অফিসার শ্যামল মণ্ডল বনকর্মীদের নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। শামুকতলা থানার পুলিশও চলে আসে। হাতিটির দেহ নদীর পাড়ে পড়ে থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচুর মানুষ নদীর পাড়ে এসে ভিড় জমান। অনেকে ফুল দিয়ে মৃত হাতিটির প্রতি শ্রদ্ধাও জানান। বাসিন্দারা জানান, এদিন চারটি হাতির একটি দল কার্তিকা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চল গোরি বস্তির দিকে আসে। সেখান থেকে কার্তিকা গ্রামের দিকে যায়। আবার তুরতুরি নদীর ধারে আসে। কোন কোন সাড়া শব্দ না পেয়েই বাসিন্দারা বুঝতে পারেন হাতিগুলি জঙ্গলে চলে গিয়েছে। কিন্তু সকালে গ্রামবাসীরা দেখতে পান একটি হাতির দেহ নদীর ধারে পড়ে রয়েছে।
বনদপ্তর এর কর্তারা জানিয়েছেন, মহানাতন্তের রিপোর্ট আসার পরে হাতিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে হাতিটি পূর্ণবয়স্কা গর্ভবতী হওয়ায় হৃদযন্ত্র বিকল হয়েও মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কোনওভাবে বিষক্রিয়ায় হাতিটির মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আজকাল ফসল বাঁচাতে বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে গ্রামবাসীদের। তবে এক্ষেত্রে তেমন কোনও প্রমাণ পায়নি বন দপ্তর। তাই হাতিটির মৃত্যুর কারণ হিসাবে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছে বনকর্তারা। নর্থ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার শ্যামল মণ্ডল জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব হবে।