মালদা: মালদা জেলায় তৃণমূলে ভাঙন! শুক্রবার প্রেস কর্নারে সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়লেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির জেলা সম্পাদক ও সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সহ বেশকিছু নেতা-কর্মী। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ এনে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংখ্যালঘু নেতৃত্ব। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস ও মাইনরিটি সেলের সমস্ত রকম পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেতা নজরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে মালদা জেলা ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মালদা জেলার সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি সহ একাধিক কর্মী তৃণমূল ছেড়েছেন।
যদিও মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়ে দিয়েছেন প্রার্থী ঠিক করার তিনি কেউ নন। গ্রামের বুথ ও জনসাধারণের মধ্যে থেকে উঠে আসা নামগুলোই দল বিবেচনা করে প্রার্থী করেছে। সেখানে নজরুল ইসলামের নাম উঠে না আসলে তাঁর কিছু করার নেই। নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমত উপেক্ষা করে মোথাবাড়ি সহ মালদা জেলায় ভিন্ন দল থেকে আগত সুযোগসন্ধানীদের প্রার্থী করা হয়েছে। পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। টাকার বিনিময়ে এই প্রার্থীপদ বিক্রি হয়েছে। মোথাবাড়ির বুকে এই দলটিকে আমরা তৈরি করেছিলাম। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপকভাবে জয় লাভ করেছিলাম। গতবারের পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদের বেশিরভাগ প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বর্তমানে এই দলে থাকলে এখন লজ্জা করে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে চোর চোর বলে চিৎকার করে। তাই নিজের সম্মান বাঁচাতে এই দল থেকে পদত্যাগ করলাম।‘
যদিও এ বিষয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ের আমি কে? নিজের অঞ্চল থেকেই নজরুলবাবু নিজের নাম তুলে আনতে পারেনি? ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী হতে না পেরে তাঁরা এই ধরনের কাজ করছে। গ্রাসরুট লেভেল থেকে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে প্রার্থী হয়েছে। এদের দলবদলে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোথাবাড়ি সহ মালদা জেলায় সবকটি আসন আমরাই দখল করে নতুন তৃণমূলের জন্ম দেব।‘