কলকাতা: প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই সুপার কাপ (Super Cup) অভিযান শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। জয় পেলেও দুই গোল হজম করতে হয়েছে লাল-হলুদ (East Bengal) রক্ষণভাগকে। বিশেষ করে মহম্মদ রাকিপ প্রথম ম্যাচে আশানুরূপ পারফরমেন্স তুলে ধরতে পারেননি। ছন্দে ছিলেন না হিজাজি মাহেরও। তার ওপর এদিন অনুশীলন করেননি সাইডব্যাক মন্দার রাও দেশাই। তাই রক্ষণভাগই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কোয়াদ্রাতের। গুরসিমরত সিং গিলের পারফরমেন্সও তথৈবচ। তাই হিজাজির পাশাপাশি পার্দোকেই খেলাতে পারে লাল-হলুদ থিংক ট্যাংক।
এই ম্যাচটিকে ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল হিসেবেই দেখছে ইস্টবেঙ্গল। ১৯ তারিখ মহারণের আগে শ্রীনিধি ডেকান এফসি-র বিরুদ্ধে নিজেদেরকে শেষবারের মতো ঝালিয়ে নিতে চায় তারা। গত ম্যাচের প্রথম একাদশে পরিবর্তন আনতেই পারেন কোয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)। শ্রীনিধি আই লিগের দল হলেও তাদেরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। কোয়াদ্রাত বলেছেন, ‘আমরা একটি ভালো দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি। শ্রীনিধি আই লিগের সেরা দলগুলির মধ্যে একটি। গত ম্যাচে ওরা মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে দারুণ ফুটবল খেলেছে। আমরা অবশ্য টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
তবে জেতা যে কঠিন তা ভালো করেই জানেন কোয়াদ্রাত। গত ম্যাচে চার বিদেশি নিয়ে শুরু করেছিলেন। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে সব বিদেশিকে মাঠে নামিয়ে দিতেই পারেন তিনি। যদিও সিভেরিওর পারফরমেন্স একদমই খারাপ। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষণ সামলেই আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনা কোয়াদ্রাতের। মাঝমাঠে সৌভিক চক্রবর্তীর পাশে সাউল ক্রেসপোকে শুরু থেকে খেলাতেই পারেন তিনি। দুই উইংয়ে নন্দকুমার শেখর ও পিভি বিষ্ণু একপ্রকার নিশ্চিত। আপফ্রন্টে ক্লেইটন সিলভা বড় ভরসা। তবে আশার কথা গোলের খরা কেটেছে ইস্টবেঙ্গলের। গত ম্যাচে জোড়া গোল করে নায়ক হয়েছিলেন ক্লেইটন। কিন্তু ক্লেইটন তো রোজ গোল করে দলকে জেতাবেন না। তাই বিষ্ণু, নন্দদেরও গোল করার জন্য বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। ইস্টবেঙ্গল কোচ কোয়াদ্রাত অবশ্য শ্রীনিধির বিরুদ্ধে তরুণ ফুটবলারদের দেখে নিতে পারেন। গত ম্যাচে বিষ্ণু প্রথম একাদশে ছিলেন। এছাড়া পরিবর্ত হিসেবে আমন সিকেকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। এই ম্যাচেও বিষ্ণু, আমনদের পাশাপাশি সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, অজয় ছেত্রীদের সুযোগ দিতে পারেন। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে বড় কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটতে চাইবেন না ক্লেইটনদের হেডস্যর। এমনিতেই প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরাই নক আউটে উঠবেন। সেক্ষেত্রে রবিবার মোহনবাগান (Mohon Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল দুই দলই জয় পেলে ১৯ তারিখের ম্যাচটি একপ্রকার কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত হবে। তাই ডার্বির আগে শ্রীনিধিকে হারিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে চায় ইস্টবেঙ্গল।