উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ধূপগুড়ির আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবির। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, উপনির্বাচনে এই আসন ধরে রাখতে পারলে উত্তরবঙ্গে বিজেপি বাড়তি অক্সিজেন পাবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়। চলতি বছর ২৫ জুলাই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান বিজেপি বিধায়ক। তার মৃত্যুর পর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। এই নির্বাচনেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীরা সকলেই রাজবংশী সম্প্রদায়ের। সিপিএম প্রার্থী করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছেন নির্মলচন্দ্র রায়কে, এবং বিজেপি প্রার্থী করেছেন তাপসী রায়কে। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় বাম ও তৃণমূলের প্রার্থীরা রাজনৈতিকভাবে পরিচিত হলেও বিজেপির তাপসী রায়ের কোনও রাজনৈতিক পরিচিতি নেই। তবে দলীয় সুত্রে জানা যাচ্ছে, বিজেপির প্রার্থী তাপসী পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী।
২০১৮ সালে ধূপগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে চারটি ওয়ার্ডে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ১,৮৪,০০৪ ভোটে জলপাইগুড়ি আসনে জেতে বিজেপির জয়ন্ত রায়। বিধানসভা নির্বাচনে ৪,৩৫৫ ভোটে জেতে বিজেপি। দলের ভোটপ্রাপ্তির হার ছিল ৪৫.৬৫ শতাংশ। আর তৃণমূল পেয়েছিল ৪৩.৭৫ শতাংশ। অনেক পিছিয়ে থাকা সিপিএম পেয়েছিল ৫.৭৩ শতাংশ ভোট। তবে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বদলেছে ভোটের অঙ্ক। জেলা পরিষদ স্তরে তৃণমূল পেয়েছে ৪৭.৬০ শতাংশ ভোট। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৩৯.২০ শতাংশ আর বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে ১২.১০ শতাংশ ভোট।
তবে বিগত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গেছে রাজবংশী ভোট পড়েছে বিজেপির ঝুলিতে। আর ধূপগুড়ি মানেই রাজবংশী ভোট। তাই রাজবংশী ভোট যাতে বিজেপির দিকেই আসে সেকথা মাথায় রেখে রাজবংশী সমাজের নেতা হিসাবে পরিচিত অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করেছে বিজেপি। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসের রাতেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে ‘শহিদ’ আবেগ কাজে লাগিয়েই উপনির্বাচনে জয়ের লক্ষ্য নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সাধারণত রাজ্যের রাজনৈতিক যে ট্রেন্ড তাতে দেখা গেছে, উপনির্বাচনের ফল শাসক দলের দিকেই যায়। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাগরদিঘির বাইরন বিশ্বাস। তবে পরবর্তীতে তিনিও যোগ দেন তৃনমূলে। সুতরাং এখন দেখার ধূপগুড়িতে কোন রঙের দেখা মেলে।