ধূপগুড়ি: রাজ্যের দ্বিতীয় সংস্থা হিসেবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর স্বীকৃত মহাকাশ শিক্ষক হিসেবে নথিভুক্ত হল ধূপগুড়ি সায়েন্স ক্লাব। গত বছর অক্টোবর মাসে সংস্থার তরফে আবেদনের পর বিভিন্ন স্তর এবং প্রক্রিয়া পেরিয়ে এই অনুমোদন মেলে। শনিবার সায়েন্স ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে ইসরোর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যান্ড পাবলিক আউটরিচ বিভাগের অধিকর্তা এন সুধীর কুমারের স্বাক্ষরিত অনুমোদনপত্র। ইসরোর ওয়েবসাইটেও স্থান দেওয়া হয়েছে সায়েন্স ক্লাবকে। সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ধূপগুড়ি হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া রূপরাজ দত্ত বলে, ‘পাঠ্য বিষয়ের ঊর্ধ্বে বিজ্ঞান যে ভালোবাসার সঙ্গী হতে পারে তা আমরা সায়েন্স ক্লাবেই শিখেছি। হাতেকলমে বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং চন্দ্রযান সহ মহাকাশ নিয়ে নানা অজানা কথাও আমরা জেনেছি। ইসরোর সহায়তা পেলে আগামীদিনে আমার মতো হাজারো পড়ুয়া বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে শিখবে এবং উপকৃত হবে।’
২০১৭ সালে স্থানীয় কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া এবং বিজ্ঞানের শিক্ষক মিলে গড়ে তোলা এই সংগঠন বরাবরই পড়ুয়াদের বিজ্ঞান পাঠে উৎসাহ দিয়ে আসছে। মূলত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়া এবং নবম ও দশম শ্রেণির উৎসাহী পড়ুয়ারাই এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নিয়মিত মহাকাশ ও বিজ্ঞানের নানা শাখা নিয়ে গবেষণা, প্রয়োগ এবং সচেতনতা কর্মসূচি পালন করে এরা। ধূপগুড়ি শহর এবং আশপাশের পাঁচ শতাধিক স্কুল পড়ুয়া এবং পনেরোর বেশি শিক্ষক যুক্ত এই সংস্থায়। নিয়মিতভাবে পড়ুয়াদের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা এবং প্রয়োগমূলক কাজেও উৎসাহ দেয় সংস্থা।
ইসরোর অনুমোদন মেলার খবর পৌঁছোতেই উচ্ছ্বসিত ধূপগুড়ি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি তথা পদার্থবিদ্যার শিক্ষক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘এই এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের জন্যে এটা এক নতুন দিগন্ত খুলে গেল। ইসরো স্কুল পড়ুয়াদের খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমরা বরাবরই তাদের সহায়তা পাই। এবারে ইসরোর স্বীকৃত সংস্থা হিসেবে মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে কাজ করা যাবে।’