উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘গরিব মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে তৃণমূল নেতারা। সেই সব টাকা সুদে আসলে ফেরাতে হবে ওই নেতাদের। নইলে ওই নেতাদের গ্রামছাড়া করাব’। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের রায়রামচন্দ্রপুর গ্রামে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানেই তৃণমূলের নানান দুর্নীতি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
সম্প্রতি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫,৭৫৩ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। বিজেপি এই ইস্যুতে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে। তৃণমূল নেতারা টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরিতে ঢুকিয়েছিল বলেই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এই প্রসঙ্গে এদিন চা-চক্রের আসরে দিলীপ ঘোষ একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অনেকের কাছেই তৃণমূলের নেতারা টাকা নিয়েছে। কারা কত টাকা নিয়েছে তার তালিকা আমাকে দেবেন। ভোটের পর আমি এসে ওই নেতার কাছে টাকা আদায় করে আপনাদের হাতে ফেরত দেব। সব টাকা আদায় করব। এছাড়াও যারা গরিব মানুষের ঘরের টাকা, শৌচাগারের টাকা নিয়েছে তাঁদের থেকে টাকা আদায় করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “৪ (জুন) তারিখের পর হিসাব হবে। যারা এখন চমকাচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে তাদের দেখে নেওয়া হবে। কোনও মিলিটারি লাগবে না। আমি আছি আর আমার কর্মীরা আছে। যারা টাকা খেয়েছে, সব উসুল হবে। হয় টাকা ফেরত দিতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে।”
দিলীপের এই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “উনি ৪ তারিখের পর নিজেই থাকবেন না। তাই এসব ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছেন। বর্ধমানের মানুষ দিলীপ ঘোষকে ‘গো ব্যাক’ বলছে। তাই তিনি এসব ফালতু কথা বলে বাজার গরম করতে চাইছেন, এমনই মত তৃণমূল নেতার।”