চালসা: বাবা মারা গিয়েছেন বহুদিন আগেই। বাবার হাত থেকেই প্রতিমা তৈরীর কাজ শেখা। বাবার স্মৃতি আঁকড়ে এখন প্রতিমা বানাচ্ছেন ছেলে দিলীপ রায়। কয়েকদিন বাদেই বিশ্বকর্মা পুজো। তারপরেই দুর্গোৎসব। পাল্লা দিয়ে কারখানাগুলোতেও প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এবার যেমন পুজোর সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে প্রতিমার চাহিদা। আর কাজ ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে প্রতিমা তৈরির কারিগরদের মুখে।
মেটেলি ব্লকের চালসার একমাত্র প্রতিমা তৈরির কারখানা বিমল প্রতিমা কারখানায় জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কারখানার প্রতিষ্ঠাতা প্রতিমা শিল্পী বিমল চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পর এখন ওনার ছেলে দিলীপ রায় ওই কারখানা চালায়। বাবার কাছ থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেখা তাঁর। বাবার সেই স্মৃতিকে আঁকড়ে রেখেই প্রতিমা বানাচ্ছে সে। দিলীপ জানায়, বাবার হাত থেকেই প্রতিমা তৈরি শেখা। কারখানাটিও বাবার হাতেই তৈরি। এখান থেকে তৈরি প্রতিমা মেটেলি ব্লকের গ্রাম্য ও চা বাগান এলাকা সহ পাহাড়ে যায়। এবছর এখন পর্যন্ত ৮০টি বিশ্বকর্মা প্রতিমার অর্ডার এসেছে। ১০টির মতো বড় দুর্গা প্রতিমারও অর্ডার এসেছে। এবার পুজোর সংখ্যাও বেড়েছে। প্রতিমা তৈরির খড়, বাঁশ, মাটি সহ অন্যান্য সামগ্রীর দামও বেড়েছে। তবুও আশা করছি এবার ভালোই লাভ হবে।