উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে রাজ্যের একাধিক জেলায় বোমাবাজি, গুলি, প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন। শুধু রাজ্য সরকার নয়, সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে রিক্যুইজিশন পাঠাতে হবে। সেই সময়সীমার আগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চাইছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ রাজ্যের বক্তব্য হল, বাংলায় এমন পরিস্থিতি নেই যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করাতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের ওই রায় ঘোষণার পর শুক্রবার কমিশনের কর্তারা বৈঠকে বসেন। নবান্নেও বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে নথি তৈরি করে পিটিশন দাখিল করবে।
রাজ্যের হয়ে ওই মামলায় সওয়াল করেছিলেন প্রবীণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর সওয়ালে বলেন, মহামান্য বিচারপতিদের উদ্দেশে অপার শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, টিভি চ্যানেলের বিতর্ক দেখে প্রভাবিত হবেন না। কারণ, হয়তো দেখা যাবে আদালত যে রায় দেবে তাই প্রচারের অস্ত্র করে তুলবে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু শেষমেশ চূড়ান্ত রায়ে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলে তাঁদের যাতে মামলার পক্ষ করা হয় সেজন্য বৃহস্পতিবারই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার একই পথে হেঁটে পৃথক ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।
এদিকে, শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারের শেষ দিনে কাকদ্বীপের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে ক্যাঁচকলা করবে।’ সেইসঙ্গে মমতা এও প্রশ্ন তোলেন, অগ্নিগর্ভ মণিপুরে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁরা কী করছে।